জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান ও ওযুখানা নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন ‘কুরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাব’।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন সংগঠনের সদস্যরা।

সংগঠনটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফা সুলতানা স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উপাসনালয়। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মুসলিম এখানে নামাজ আদায় করে থাকেন।

আরো পড়ুন:

জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান দাবি

সাড়ে ৩ পাইয়ে দিতে ছাত্রীর কাছে যা চান খুবি শিক্ষক

অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় স্থাপনায় এখনো পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পৃথক নামাজের স্থান এবং ওযুখানার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এর ফলে নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুশীলনে নিয়মিতভাবে প্রতিবন্ধকতা ও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তারা স্মারকলিপিতে বলেন, একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে একটি পৃথক নামাজের কক্ষ এবং পৃথক প্রবেশদ্বার, অযুর জন্য আলাদা স্থান এবং একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুম নির্মাণ এখন সময়োপযোগী ও অতি প্রয়োজনীয়।

স্মারকলিপিতে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টির যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনায় এনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পৃথক নামাজের স্থান, অযুর জন্য আলাদা স্থান ও ওয়াশরুম নির্মাণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তারা।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ স ম রকল প দ র জন য মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”

আরো পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”

“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”

জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।

এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ