আ.লীগের বি-টিম চলে এসেছে, প্রতিহত করা হবে: হাসনাত
Published: 12th, August 2025 GMT
আওয়ামী লীগের ‘বি-টিম’ চলে এসেছে দাবি করে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এনসিপির যুব সংগঠন যুবশক্তির কাউন্সিলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগের বি-টিম ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এদের প্রতিহত করা হবে। মুনাফিক জাতীয় পার্টি, যারা আওয়ামী লীগ যা বলতো তাই করতো, কিভাবে তারা হুংকার দেয়?”
আরো পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্রের নীরব প্রতিবাদ জানাতে কক্সবাজার গিয়েছি: হাসনাত
এনসিপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে: হাসনাত
এ সময় ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, “ডিজিএফআইয়ের অর্থ কখনো হিসাব করা হয় না। এই প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করুন, প্রয়োজনে ব্যান করুন। সকল মিলিটারি অর্গানাইজেশনকে বাংলাদেশপন্থী হিসেবে গড়ে তুলুন।”
এ সময় গত ১ বছরে সরকারের কর্মকাণ্ডের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন আরেক মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি আরো অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ দল গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে।
হাসনাত বলেন, “একটি দলের নেতারা নিউজ লিখে দেয়, মিডিয়া সেটা প্রকাশ করে। আমাদের আটকে রেখে চ্যানেল ওয়ান, ডিবিসিকে ফোন দেওয়া হতো হেডলাইন পরিবর্তন করেন, ব্রেকিং পরিবর্তন করেন। একই অবস্থা আবারও দেখতে পাচ্ছি। মিডিয়া এখনো বিশেষ দল নিয়ন্ত্রণ করছে। আগে বুলেট দিয়ে ব্যালট নিয়ন্ত্রণ করা হতো, এবার পারলে আসুন বুলেট নিয়ে।”
এনসিপির আরেক নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুরে মামলার সমালোচনা করেন তিনি। হাসনাত বলেন, “সারজিসের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা সিগনাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাসিনা মামলা করতো, একটি বিশেষ দলের নেতারা তাই করার চেষ্টা করছে।”
হাসনাত বলেন, “তাদের (বিএনপি) নেতা তারেক রহমান নিজের ছবি নিজে পোস্ট করে আত্মসমালোচনা করেন, অথচ তার দলের নেতারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। আমাদের নামে মামলা দেয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না দিলে মনে করব সেন্ট্রাল থেকেই এসব আদেশ আসে।”
একই অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন,“ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। সে সময় নির্বাচন হলে-যারা শহীদ হয়ে কবরে আছেন, তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যে ভাইটি হাত হারিয়েছে, তার হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প এনস প র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি