বন্দরে রেলওয়ের জমিতে দোকান নির্মাণে বাধা, প্রাণনাশের হুমকি
Published: 12th, August 2025 GMT
বন্দরে রেলওয়ের জমি দখল করে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দাকে প্রকাশ্যে খুন-জখমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ দোসর মোশারফ,রাসেল ও পারভেজগং এর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মোঃ আশরাফুর রহমান বাদী হয়ে গত সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে ,বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত আলী আহাম্মদ মিয়ার ৩ ছেলে মোশারফ রাসেল,পারভেজ গং আওয়ামীলীগের দোসর। তারা ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ ও স্থানীয়দের হয়রানি করে আসছে।
নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রেলওয়ের জমিতে আগে শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ নামে আওয়ামীলীগের একটি সংগঠনের কার্যালয় ছিল। যা ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিবাদীরা আওয়ামীলীগকে পূর্ণবাসন করার জন্য বর্তমানে রেলওয়ে জমিতে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ শুরু করে।
এর ধারাবাহিকতা গত সোমবার দুপুরে তিনি ও তার সহযাত্রী মোঃ খোকন নির্মাণকাজে বাধা দিলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা প্রকাশ্যে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগের বাদী আশরাফুল গণমাধ্যমকে জানান, “বিবাদীদের হুমকির কারণে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি, যেকোনো সময় জানমালের ক্ষতি হতে পারে।” স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হ মক ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি