এনসিপি নেতাদের নিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বিএনপির ফজলুর রহমানকে আলটিমেটাম
Published: 13th, August 2025 GMT
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা। সেটি না করা হলে তাঁকে জেলাটিতে অবাঞ্ছিত করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও ফজলুর রহমান বর্তমানে বিএনপির হয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। অথচ তাঁর ভাষা ও বক্তব্য আওয়ামী লীগের বয়ানকেই প্রতিফলিত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘যে মুজিববাদকে আমরা উপড়ে ফেলেছি, সেই মুজিববাদের সৈনিক এখন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপিতে সক্রিয়। তিনি শহীদদের অবমাননা, আহতদের তিরস্কার এবং অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী বয়ান ছড়াচ্ছেন। অবিলম্বে এই মুখোশধারী মুজিববাদীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করে দলকে দায়মুক্ত করা উচিত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘গত রোববার একটি অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ফজলুর রহমান। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এ জন্য তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। ফজলুর রহমান নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কিশোরগঞ্জের ছাত্র-জনতা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে, কঠোর আন্দোলন হবে।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইকরাম হোসেন বলেন, ‘বিপ্লবের এক বছরের মাথায় বিপ্লবীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায়, তখন আমাদের পুলিশ হত্যা মামলাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের আওয়ামী ন্যারেটিভ মামলায় ফাঁসানো হবে বলে ধারণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূইয়া, আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ফজলুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফজল র রহম ন ক শ রগঞ জ ম জ বব দ এনস প ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।
আরো পড়ুন:
১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার
১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়
যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।
ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ