মানিকগঞ্জে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএসসহ গ্রেপ্তার ৮
Published: 14th, August 2025 GMT
মানিকগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী মামলায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) দিনভর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের এপিএস মো.
অন্যরা হলেন- শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক চৌধুরী ওরফে তুলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ওরফে টুলু (৫০), মানিকগঞ্জ পৌরসভার মত্ত (রাইন্থা পাড়া) এলাকার মৃত শফি উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু (৬২), সদর উপজেলার পশ্চিম আটিগ্রাম এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন (৩৮), মানিকগঞ্জ পৌরসভার চর হিজুলি গ্রামের মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ রাজু (৩৫), চর গড়পাড়া গ্রামের মো. মহিদুর রহমানের ছেলে মো. ইমরান মাহমুদ ইরান (২১), কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মৃত ইলিম উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে নিজাম ব্যাপারী (৬৫) ও গড়পাড়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে মো. আজিম মিয়া (৪৩)।
ওসি এসএম আমান উল্লাহ জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনভর অভিযান চালিয়ে বৈষম্য বিরোধী মামলার আটজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান সনাক্ত হয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”
ঢাকা/চন্দন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর উপজ ল র গ র প ত র কর ম ন কগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি