রাশিয়ার তিনটি সামরিক যুদ্ধবিমান ন্যাটো সদস্য এস্তোনিয়ার আকাশসীমা ১২ মিনিটের জন্য লঙ্ঘন করেছে। শুক্রবার এ ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন নির্লজ্জ’ অনুপ্রবেশ বলে মন্তব্য করেছে এস্তোনিয়া।

৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০টিরও বেশি রাশিয়ান ড্রোন পোলিশ আকাশসীমায় প্রবেশের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে এই ঘটনা ঘটলো। 

এস্তোনিয়া জানিয়েছে, তিনটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়াই এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে এবং মোট ১২ মিনিট সেখানে অবস্থান করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গাস সাহকনা বলেছেন, “রাশিয়া চলতি বছর চারবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, যা অগ্রহণযোগ্য, কিন্তু আজকের লঙ্ঘন, যার সময় তিনটি যুদ্ধবিমান আমাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে, নজিরবিহীনভাবে নির্লজ্জ। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত পরীক্ষা এবং আগ্রাসনের  প্রতিক্রিয়া দ্রুত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে।”

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। 

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ১ অক্টোবর কোপেনহেগেনে আসন্ন অনানুষ্ঠানিক ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকে ‘রাশিয়ার পদক্ষেপের প্রতি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া’ নিয়ে আলোচনা করবেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস ত ন প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মাজার ভাঙার ঘটনায় সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে, এমন প্রমাণ নেই: ফরহাদ মজহার

দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার ভাঙা ও মাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘মাজার ভাঙা একটা ফৌজদারি অপরাধ। এ সরকার এখন পর্যন্ত মাজারে যেসব ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেসব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে কিংবা বিচারের প্রক্রিয়ায় এনেছে, এমন কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নাই।’

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ফরহাদ মজহার। ‘ভাব বৈঠকি’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সুফিবাদের অনুরাগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

প্রতিবাদ সভায় ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি, তাদেরকে পরিষ্কার ভাষায় বলছি, এটা সরকারের মারাত্মক দুর্বলতা। এই দুর্বলতার সুযোগে একের পর এক মাজার ভাঙা হয়েছে।’

মাজার ভাঙার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘একজন মৃত মানুষের লাশ কবর থেকে তুলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি যেভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, আমি জানি না তিনি এটা পরিষ্কার বুঝতে পারছেন কি না। এটা প্রকট মানবাধিকারের লঙ্ঘন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’

আরও পড়ুনযেমন প্রত্যাশা করেছিলাম, এই সরকার তেমন করে হয়নি: ফরহাদ মজহার২৫ এপ্রিল ২০২৫

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করা গণতন্ত্রের মূল কথা উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, প্রত্যেকের ধর্ম তাঁরা তাঁদের নিজের মতো করে যেন চর্চা করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার এই দায়িত্ব পালন করছে না।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঐশী নগরের মহাসচিব আনিস জাফরী, বাংলাদেশ বাউল সমিতির সভাপতি আবুল সরকার, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক নফিউল ইসলাম, শিক্ষা আন্দোলনকর্মী পঙ্কজনাথ সূর্য প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে আগামী ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জাতীয় সুফি ঐক্যে’র ব্যানারে একটি জাতীয় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে একটি দল দ্রুত বিষয়টি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আলোচনা করবেন বলেও জানানো হয়।

আরও পড়ুনরাষ্ট্র বলে আর কিছু নাই, এখন আছে কয়েকটা রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী: ফরহাদ মজহার১৯ আগস্ট ২০২৫আরও পড়ুনবিএনপি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেন, সব একই জিনিস: ফরহাদ মজহার১৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ