আরিয়ানের সিরিজের দৃশ্য ভাইরাল, রাঘব-ইমরানে মাত অন্তর্জাল
Published: 20th, September 2025 GMT
গত বৃহস্পতিবার রাতে নেটফ্লিক্সে এসেছে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের প্রথম সিরিজ ‘ব্যাডস অব বলিউড’। মুক্তির পর নানা কারণে আলোচনায় সিরিজটি। এই সিরিজে রাঘব জুয়াল আর ইমরান হাশমির একটি দৃশ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মজার দৃশ্যটি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন ভক্তরা।
সিরিজটিতে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলিউডকে। এই সিরিজে একে একে হাজির হয়েছেন ববি দেওল, লক্ষ্য লালওয়ানি, সাহের বাম্বা, মোনা সিং ও রাঘব জুয়াল। আর চমক হিসেবে ছিলেন আমির খান, সালমান খান, রণবীর সিং ও করণ জোহরও। তবে দর্শকের মন জিতে নিয়েছে রাঘব জুয়ালের এক বিশেষ দৃশ্য।
ইমরান হাশমিকে ঘিরে হাসির ঝড়
সিরিজে রাঘবের চরিত্র পারভেজ ইমরান হাশমির অন্ধভক্ত। একপর্যায়ে তিনি ইমরানের মুখমণ্ডল ছাপা টি-শার্ট পরে হাজির হন এবং হঠাৎ করেই গেয়ে ওঠেন জনপ্রিয় গান ‘কাহো না কাহো’। দৃশ্যটিতে ইমরান যেমন চমকে যান, তেমনি দর্শকও হেসে কুটিকুটি হন। শেষে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে রাঘবের সংলাপ—‘আগেও বলেছি, এখনো বলছি, মরতে মরতেও বলে যাব…সারা বলিউড এক পাশে, আর ইমরান হাশমি এক পাশে।’ এই দৃশ্য প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে একে বলছেন ‘আজকের সেরা মুহূর্ত।’
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
এক্সে ক্লিপটি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘রাঘব জুয়ালের ইমরান হাশমিকে নিয়ে দৃশ্যটাই এই সিরিজের আসল হাইলাইট।’ ইউটিউবার আশিষ চঞ্চলানি মন্তব্য করেছেন, ‘রাঘব জুয়াল ভাই, তুমি আসলেই আলাদা কিছু।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যান্টার্কটিকায় সাগরের তলদেশে মাছের ভিন্ন আবাসস্থলের খোঁজ
অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম ওয়েডেল সাগরে ১ হাজারের বেশি মাছের আবাসস্থল খুঁজে পেয়েছে একটি ডুবো রোবট। সমুদ্রের তলদেশে থাকা আবাসস্থলটি বিক্ষিপ্ত অবস্থার বদলে সুস্পষ্ট নকশায় সজ্জিত। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেলফ বা বরফের স্তর থেকে বিশাল আইসবার্গ ভেঙে যাওয়ার পর উন্মোচিত হওয়া আবাসস্থলটি বহু দশক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সুসংগঠিত প্রজননক্ষেত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা ২৭ ঘণ্টার সমুদ্র তলদেশের ভিডিও বিশ্লেষণ করে মাছের আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের বিজ্ঞানী রাসেল বি কনেলি বলেন, এই অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে ছয়টি স্বতন্ত্র জ্যামিতিক বাসার নকশার খোঁজ। রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেলের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিক মাছের বাসার খোঁজ পাওয়া গেছে। রোবটের চোখে বক্ররেখা, রেখা, গুচ্ছ, ডিম্বাকৃতি, ইউ আকৃতি ও বিচ্ছিন্ন এককভাবে গোষ্ঠীভুক্ত বাসার অবস্থার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার সাগরে এমন বাসার বিন্যাস মাছের সেলফিশ হার্ড বা স্বার্থপরভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকার তত্ত্বের সঙ্গে খাপ খায়। এই ধারণা অনুসারে শিকারি প্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রাণীরা তাদের প্রতিবেশী প্রাণীদের নিজেদের ও শিকারিদের মাঝে রাখে।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ৬৭ আইসবার্গ লারসেন সি থেকে ভেঙে যায়। তখন বরফ ঢাকা এলাকায় গবেষণা শুরু হয়। বরফের খণ্ডটি প্রায় ২২৪০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছিল। বরফখণ্ড ভেসে যাওয়ার পরে সমুদ্রের তলদেশের বাসস্থানের তথ্য জানা যায়। ২০১৯ সালের ওয়েডেল সাগর অভিযানের সময় প্রকৌশলীরা এসএ আগুলহাস ২ জাহাজ থেকে রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল পরিচালনা করে। রোবটে একটি ক্যামেরা ও লেজার আছে। রোবটের মাধ্যমে দেখা যায়, খোঁজ পাওয়া বাসা আসলে ইয়েলোফিন নোটি প্রজাতির। এই ছোট মাছ মেরু অঞ্চলের পানিতে পাওয়া যায়।
কমিশন ফর দ্য কনজারভেশন অব অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস ওয়েডেল সি এমপিএ বা মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে। পুরো গবেষণার ফলাফল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: আর্থ