খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম জগাপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) দলের সঙ্গে আজ শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় ওই এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তল, রাইফেলের গুলি, ওয়াকিটকি সেট, ইউনিফর্মসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম জগাপাড়া এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী দীর্ঘমেয়াদি অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানের অংশ হিসেবে আজ সকালে সেনাবাহিনীর টহল দল এলাকার ইউপিডিএফ (মূল) দলের সন্দেহভাজন এক সক্রিয় সদস্যের বাড়িতে তল্লাশি কার্যক্রম চালায়। এ সময় ইউপিডিএফ (মূল) ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এলাকার দুর্গমতার কারণে সশস্ত্র দলটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরে তল্লাশি চালিয়ে ওই এলাকা থেকে ৮টি গুলিসহ ১টি রাশিয়ান পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, রাইফেলের ২০০টি গুলি, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ইউনিফর্মসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামলা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া০৫ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ৩৭টি রুগ্‌ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার

গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭টি রুগ্‌ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান।

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় এক বছর ধরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। পরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরও গোপনে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই কাজ করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১১টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। একটি ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে ৩৭টি রুগ্‌ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার করা ঘোড়া ও জব্দ করা ঘোড়ার মাংসগুলো স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে সেগুলো জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কাছে হস্তার করা হবে।

গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশই রুগ্‌ণ এবং ঘোড়ার মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ঘোড়ার মাংস ক্রয় ও খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ