খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলি বিনিময়, অস্ত্র উদ্ধার
Published: 20th, September 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে সন্দেহভাজন এক সক্রিয় সদস্যের বাড়িতে অভিযানের সময় ইউপিডিএফ বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলিবিনিময় হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার পানছড়ি উপজেলার দুর্গম জগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আরো পড়ুন:
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আরো দুই মাস বাড়ল
ঝিনাইদহে ১টি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার
সংস্থাটি জানায়, পাহাড়ি সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী দীর্ঘমেয়াদি অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানের অংশ হিসাবে শনিবার সকালে টহল দল এলাকার ইউপিডিএফের এক সন্দেহভাজন সক্রিয় সদস্যের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। এ সময় তার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করলে এলাকায় উৎপেতে থাকা ইউপিডিএফের ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দলের সাথে গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে সেনা সদস্যদের সঙ্গে টিকতে না পেরে দুর্গমতার সুযোগে সশস্ত্র দলটি পালিয়ে যায়।
পরে, তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল হতে ৮ রাউন্ড গুলিসহ ১টি রাশিয়ান পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন, ২০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি ওয়াকিটকি সেট ও ইউনিফর্মসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার সাথে জড়িত সশস্ত্র সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সশস ত র উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ৩৭টি রুগ্ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার
গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭টি রুগ্ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় এক বছর ধরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। পরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরও গোপনে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই কাজ করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১১টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। একটি ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে ৩৭টি রুগ্ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার করা ঘোড়া ও জব্দ করা ঘোড়ার মাংসগুলো স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে সেগুলো জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কাছে হস্তার করা হবে।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশই রুগ্ণ এবং ঘোড়ার মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ঘোড়ার মাংস ক্রয় ও খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।