মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-ওয়ান বি ভিসার বার্ষিক ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করার ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে। এই নীতি ‘পরিবারগুলোর জন্য বিপর্যয়’ ডেকে আনতে পারে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা বলেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নয়াদিল্লি আশা করে যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই বিপর্যয়গুলো ‘যথাযথভাবে মোকাবেলা’ করতে পারবে এবং সরকার এই নীতির সম্পূর্ণ প্রভাবগুলো পর্যালোচনা করছে।

এইচ-ওয়ান বি ভিসা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের মতো বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন বিদেশী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগের অনুমতি দেয়। প্রাথমিকভাবে এই ভিসার মেয়াদ তিন বছরের জন্য, তবে তা ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

ভারতীয় পররাষ্ট দপ্তরের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নীতিনির্ধারকেরা পারস্পরিক সুবিধা বিবেচনা করে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো মূল্যায়ন করবেন। 

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে আমেরিকায় এইচ-ওয়ান বি ভিসার সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ভারতীয় কর্মীরা। গত বছর ভারত থেকে ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই আছে চীন। সেখান থেকে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ ভিসার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অ্যামাজ়ন এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলি ১২ হাজার এইচ-ওয়ান বি ভিসার আবেদন মঞ্জুর করেছে। 

ভারতের ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া আউটসোর্সিং শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাসকম জানিয়েছে, নীতিটির আকস্মিক প্রবর্তন ভারতীয় নাগরিকদের উপর প্রভাব ফেলবে এবং দেশের প্রযুক্তি পরিষেবা সংস্থাগুলোর চলমান প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতা ব্যাহত করবে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডমিনেজ স্টিলের নরসিংদীর কারখানা বন্ধ

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদীর কারখানা বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ডিএসইর একটি পরদির্শক দল সরেজমিনে পরিদর্শনে কারখানা বন্ধ পায়। তবে সাভারের কারখানাটি চালু আছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সাধারণত নিয়মিতভাবে কোম্পানি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করছে না বা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ নেই- এমন কারণে কোম্পানি পরিদর্শন করে থাকে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এরই ধরাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদীর কারখানা পরিদর্শনে যায় ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল। তবে পরিদর্শনে গিয়ে ডিএসইর প্রতিনিধি দল কারখানাটি বন্ধ পায়।

২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ডমিনেজ স্টিলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৯.৮০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২২.৯০ টাকায়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ