মাত্র কয়েক দিন আগেই ১৪ সেপ্টেম্বর আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে সফল হয়েছেন বাংলাদেশের আয়রনম্যান মো. আরিফুর রহমান। আজ শনিবার আয়রনম্যান ইতালিতে অংশ নিয়ে সফল হলেন তিনি। কয়েক দিনের ব্যবধানে দু–দুটি আয়রনম্যান সম্পন্ন করেছেন তিনি। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটায় ইতালির এমিলিয়া–রোমাগনায় শুরু হয় আয়রনম্যান ইতালি।

মো.

আরিফুর রহমানের আয়রনম্যান ইতালি সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে ১০ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ২৫ সেকেন্ড। আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর সময় লেগেছিল ১৩ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১৪ সেকেন্ড। পৃথিবীর কঠিনতম ট্রায়াথলন (সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড়ের সমন্বয়ে ক্রীড়া) প্রতিযোগিতা আয়রনম্যান। আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত সময় কম লেগেছে এবার। ফ্রান্সে আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও আয়রনম্যান ইতালির দিনের ব্যবধান কম ছিল। তবু সফল হতে পেরেছি, এটাই বড় কথা।’ আরিফুর এ পর্যন্ত আটটি আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে আজকেরটাসহ সাতটি পূর্ণ দূরত্বের।

আয়রনম্যান ইতালিতে ৮ ঘণ্টা ১৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছেন স্লোভেনিয়ার টাইন ল্যাভরেনসিক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে জার্মানির ফন এরিক ক্লুনে (৮ ঘণ্টা ১৮ মিনিট) ও ইউক্রেনের জুলিয়ান দেমিয়ানভ (৭ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড)।

মো. আরিফুর রহমান ৪০-৪৪ বয়স গ্রুপে আয়রনম্যান ইতালিতে অংশ নিয়েছেন। তাঁর বয়স গ্রুপে ৩২৭ জনের মধ্যে তিনি ৯৮তম হয়েছেন তিনি। মোট ২ হাজার ৩৬৬ জনের মধ্যে ৫৩৪তম হয়েছেন। আয়রনম্যান প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেককে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করতে হয়।

পেশায় জনতা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আরিফুর রহমান কক্সবাজারের ১০০ কিলোমিটার আলট্রা ম্যারাথনে ৯ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড করেছেন। এ ছাড়া একবার ওশেনম্যান এবং দুবার বাংলা চ্যানেল সাঁতার সম্পন্ন করেন। আয়রনম্যান ইতালিতে আরিফুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা করছে নেক্সট স্পেসেস লিমিটেড ও জনতা ব্যাংক পিএলসি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ র রহম ন র আয়রনম য ন হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যান্টার্কটিকায় সাগরের তলদেশে মাছের ভিন্ন আবাসস্থলের খোঁজ

অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম ওয়েডেল সাগরে ১ হাজারের বেশি মাছের আবাসস্থল খুঁজে পেয়েছে একটি ডুবো রোবট। সমুদ্রের তলদেশে থাকা আবাসস্থলটি বিক্ষিপ্ত অবস্থার বদলে সুস্পষ্ট নকশায় সজ্জিত। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেলফ বা বরফের স্তর থেকে বিশাল আইসবার্গ ভেঙে যাওয়ার পর উন্মোচিত হওয়া আবাসস্থলটি বহু দশক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সুসংগঠিত প্রজননক্ষেত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা ২৭ ঘণ্টার সমুদ্র তলদেশের ভিডিও বিশ্লেষণ করে মাছের আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের বিজ্ঞানী রাসেল বি কনেলি বলেন, এই অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে ছয়টি স্বতন্ত্র জ্যামিতিক বাসার নকশার খোঁজ। রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেলের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিক মাছের বাসার খোঁজ পাওয়া গেছে। রোবটের চোখে বক্ররেখা, রেখা, গুচ্ছ, ডিম্বাকৃতি, ইউ আকৃতি ও বিচ্ছিন্ন এককভাবে গোষ্ঠীভুক্ত বাসার অবস্থার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার সাগরে এমন বাসার বিন্যাস মাছের সেলফিশ হার্ড বা স্বার্থপরভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকার তত্ত্বের সঙ্গে খাপ খায়। এই ধারণা অনুসারে শিকারি প্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রাণীরা তাদের প্রতিবেশী প্রাণীদের নিজেদের ও শিকারিদের মাঝে রাখে।

২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ৬৭ আইসবার্গ লারসেন সি থেকে ভেঙে যায়। তখন বরফ ঢাকা এলাকায় গবেষণা শুরু হয়। বরফের খণ্ডটি প্রায় ২২৪০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছিল। বরফখণ্ড ভেসে যাওয়ার পরে সমুদ্রের তলদেশের বাসস্থানের তথ্য জানা যায়। ২০১৯ সালের ওয়েডেল সাগর অভিযানের সময় প্রকৌশলীরা এসএ আগুলহাস ২ জাহাজ থেকে  রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল পরিচালনা করে। রোবটে একটি ক্যামেরা ও লেজার আছে। রোবটের মাধ্যমে দেখা যায়, খোঁজ পাওয়া বাসা আসলে ইয়েলোফিন নোটি প্রজাতির। এই ছোট মাছ মেরু অঞ্চলের পানিতে পাওয়া যায়।  

কমিশন ফর দ্য কনজারভেশন অব অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস ওয়েডেল সি এমপিএ বা মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে। পুরো গবেষণার ফলাফল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: আর্থ

সম্পর্কিত নিবন্ধ