গাজীপুরের কাশিমপুরে এক নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সাভারে কর্মরত বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি রুবেল আহমেদসহ (৩৫) চারজনকে মারধর করেছে বখাটেরা। আহত ব্যক্তিরা স্থানীয় কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত অন্যরা হলেন সাইদুর রহমান (৩৫), ইয়াসিন আহমেদ (৩৬) ও শরীফুল ইসলাম (৩৫)। তাঁদের মধ্যে সাইদুরের মাথায় ৩টি সেলাই দিতে হয়েছে। অন্যদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। রুবেল আহমেদের ডান হাত ভেঙে যাওয়ায় প্লাস্টার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই কাশিমপুরে শেষ সীমানা–সংলগ্ন সাভার উপজেলার আশুলিয়ার কলতাসূতি গ্রামের বাসিন্দা।

আহত রুবেল আহমেদ (প্রিন্স) বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছিলেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর পূর্বপরিচিত সাইদুর রহমান, ইয়াসিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। কাজের একপর্যায়ে রুবেল দেখেন, কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের পাশেই একটি মাঠে এক বখাটে ছেলে দুই-তিনজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। তিনি এগিয়ে গিয়ে ওই বখাটে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয় এবং ২৫ থেকে ৩০ জনকে ডেকে আনে। তারা রুবেলকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে রুবেল ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য তিনজনকে এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে আহত রুবেল, সাইদুর রহমান, ইয়াসিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। তখন বখাটেরা আবার হাসপাতালে এসে তাঁদের টেনে বাইরে বের করার চেষ্টা করে। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা ফটক আটকে দেন।

খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ও আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন।

আহত রুবেলের অভিযোগ, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফ ব্যাপারীর ভাতিজা রিমেল ও তাঁর অনুসারীরা এ হামলায় নেতৃত্ব দেন। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।

কাশীমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এক নারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় সাংবাদিক রুবেল আহমেদ এর প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে রুবেলকে মারধর করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব ল আহম দ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের রাস্তায় আটকা পড়ে ট্রাম্পকে ফোন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহর আসছে, তাই রাস্তা বন্ধ। সেখানে আটকা পড়লেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করলেন তাঁকে রাস্তা পার হতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কাজ হলো না। এরপর একপর্যায়ে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করে জানালেন নিজের ‘দুরবস্থার’ কথা।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর। এরপর নিউইয়র্কের রাস্তায় আধা ঘণ্টা হেঁটে যান তিনি।

স্থানীয় একজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও করেছেন। তাতে দেখা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর আসবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা মাখোঁর গাড়ি আটকে দেওয়ার পর তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাঁর দেশের কনস্যুলেটে যাওয়া দরকার বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়।

জবাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মাখোঁকে বলেন, ‘আমি দুঃখিত প্রেসিডেন্ট, আমি সত্যিই দুঃখিত। সব কিছু থেমে গেছে। এখনই একটি গাড়িবহর (ট্রাম্পের) আসছে।’

তখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট খালি রাস্তার দিক তাকিয়ে বলেন, ‘আমি তো এটা (গাড়িবহর) দেখছি না। আমাকে রাস্তা পার হতে দিন।’

এ সময় সড়ক আটকে দেওয়া ধাতব প্রতিবন্ধকের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের ফোন বের করেন প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। তিনি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেন। ওই প্রতিবন্ধকের দিকে ঝুঁকে তিনি ফোনে হাসতে হাসতে বলেন, ‘কেমন আছেন? আন্দাজ করুন তো কী ঘটেছে? আমি রাস্তায় অপেক্ষা করছি। কারণ, সবকিছু আপনার জন্য থেমে গেছে।’

পরবর্তী সময়ে মাখোঁকে গাড়ি রেখে পায়ে হেটে রাস্তায় চলার অনুমতি দেওয়া হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি রাস্তায় হেঁটে চলেন।

ভিডিও ধারণ করা সাংবাদিক জানান, মাখোঁ তাঁর নিরাপত্তা দলের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটেন। চলতি পথে থামেন এবং পথচারীদের মধ্যে যাঁরা অনুরোধ করেন, তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এ সময় একজন পুরুষ তাঁর কপালে চুমু খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের রাস্তায় আটকা পড়ে ট্রাম্পকে ফোন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর
  • সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা