লালমোহন পাঠাগার সংস্কার করে চালু করুন
Published: 25th, September 2025 GMT
ভোলার লালমোহন উপজেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরিটি ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানের উদ্যোগে নির্মিত হয়। আধুনিক ভবন ও বইপত্রসমৃদ্ধ এই লাইব্রেরি একসময় পাঠকদের প্রাণকেন্দ্র ছিল।
কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে ৩৩ বছর ধরে এটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ২০১৯ সালে ভবনটি নিলামে তোলার পর এলাকাবাসীর প্রতিবাদে নিলাম স্থগিত হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ, চারপাশে আগাছা ও আবর্জনায় ভরপুর। দরজা-জানালা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় বইগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সংস্কৃতিকর্মীরা বহুবার আবার চালুর দাবি তুললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে লালমোহনের শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা বই পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে বঞ্চিত।
সচেতন মহলের মতে, জেলা পরিষদ বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ভবনটি সংস্কার ও নতুন কমিটি গঠন করে লাইব্রেরিটি দ্রুত চালু করা প্রয়োজন, নইলে অমূল্য বইপত্র ও একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হারিয়ে যাবে।
এম এ হাসান
লালমোহন, ভোলা
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশ্বনবীর জীবনদর্শন তুলে ধরতে হবে: বাণিজ্য উপ
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর যাপিতজীবন মানবজাতির জন্য অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষ, কিন্তু অতি সাধারণ ছিল তার জীবন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তার এই অনুকরণীয় জীবনদর্শন তুলে ধরতে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বুধবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর মসজিদ উত-তাকওয়া সোসাইটির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী সীরাত আয়োজন ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “নতুন প্রজন্ম বইপত্র পড়ে নবী করিম (সা.) এর জীবনী জানে। আমরা চেষ্টা করেছি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বইপত্র পড়ে তাদের মনে যে চিত্র তৈরি হয়েছে সেই কল্পনার সাথে যেন তারা নবীজির যাপিতজীবনকে মিলিয়ে নিতে পারে। এই প্রদর্শনী দেখে তারা বুঝতে পারবে কত সাধারণ জীবন থেকে তিনি কি অসাধারণ সন্মানের অধিকারী হয়েছেন।”
শেখ বশিরউদ্দীন তার বক্তব্যে নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতা, সততা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার সমন্বিত প্রয়াসের প্রসংশা করে বলেন, “মসজিদ উত-তাকওয়া সোসাইটি নবী (সা.) এর জীবনকে তুলে ধরতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ উদ্যোগ অন্যরাও নিতে পারে।”
তিনি তরুণদের নবীজীর জীবনী অধ্যয়ন ও তার শিক্ষাকে জীবনে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
সীরাত আয়োজন উপলক্ষে মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটি মসজিদের চতুর্থ তলায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যেখানে সিম্বোলিকভাবে মহানবী (স.) এর যাপিত জীবনকে তুলে ধরতে মাটির ঘর, তৈজসপত্র, পানি ধরে রাখার মসক, খেঁজুর পাতার ছাওনি, খাট এবং প্রিয় খাবার গুলোকে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মসজিদ উত-তাকওয়া সোসাইটি, ধানমন্ডি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সীরাত আয়োজনে রয়েছে সীরাত বই প্রদর্শনী, সীরাত আলোচনা, নাশিদ সন্ধ্যা, শিশুতোষ আলোচনা, নারীদের জন্য বিশেষ হালাকা, নবীজীর সুবাস, রং তুলিতে নবীজির শহর, ফুড অফ প্রফেট (সা.) বায়োগ্রাফি অফ প্রফেট (সা.) এবং থ্রিডি এনিমেশন শো। ১-৩ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। নারীদের জন্য বাদ জোহর থেকে আসর পর্যন্ত প্রবেশ উন্মুক্ত থাকবে।
এ সময় মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির খতিব সাইফুল ইসলাম, ডা. এম এ আজিজ, হাসান সহিদ সিদ্দিকী, তাজুল ইসলাম ঢালী, জি এম ফারুক, রিয়াজ আহমেদ সফিউল্লাহ, প্রফেসর মোজাম্মেল হক, মামুন উর রশিদ পারভেজ এবং তাকওয়া মসজিদের অন্যান্য মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নবীজীর জীবনভিত্তিক বইয়ের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি