ভোলার লালমোহন উপজেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরিটি ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানের উদ্যোগে নির্মিত হয়। আধুনিক ভবন ও বইপত্রসমৃদ্ধ এই লাইব্রেরি একসময় পাঠকদের প্রাণকেন্দ্র ছিল।

কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে ৩৩ বছর ধরে এটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ২০১৯ সালে ভবনটি নিলামে তোলার পর এলাকাবাসীর প্রতিবাদে নিলাম স্থগিত হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ, চারপাশে আগাছা ও আবর্জনায় ভরপুর। দরজা-জানালা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় বইগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সংস্কৃতিকর্মীরা বহুবার আবার চালুর দাবি তুললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে লালমোহনের শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা বই পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে বঞ্চিত।

সচেতন মহলের মতে, জেলা পরিষদ বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ভবনটি সংস্কার ও নতুন কমিটি গঠন করে লাইব্রেরিটি দ্রুত চালু করা প্রয়োজন, নইলে অমূল্য বইপত্র ও একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হারিয়ে যাবে।

এম এ হাসান

লালমোহন, ভোলা

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই কি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক নানা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একটি নতুন কাঠামো তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ২৮ দফার পরিকল্পনা অনুযায়ী, কিয়েভকে (ইউক্রেনের রাজধানী) অস্ত্র এবং কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ বৃহস্পতিবার কিয়েভে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার ঠিক এক দিন আগে এ খবর প্রকাশিত হলো।

পরিকল্পনা সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে এবং এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কিয়েভকে কী কী ছাড় দিতে হতে পারে, তার কিছু বিবরণ তুলে ধরা হলো।

এই পরিকল্পনা কি সরকারি প্রস্তাব

না, এটি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রস্তাব নয়। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। এমনকি রাশিয়াও এমন কোনো শান্তি পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে।

তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম অজ্ঞাতনামা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। মার্কিন ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এবং যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা গত বুধবার প্রথম এই পরিকল্পনার বিবরণ প্রকাশ করে।

রয়টার্স অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কিকে ‘ইঙ্গিত’ দিয়েছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই এই মার্কিন পরিকল্পনা মেনে নিতে হবে, যার মধ্যে ভূখণ্ড এবং অস্ত্র সমর্পণ অন্তর্ভুক্ত থাকছে। আরেক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনিময়ে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টি পাবে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অজ্ঞাতপরিচয় এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, প্রস্তাবটি ‘গুরুত্বপূর্ণভাবে রাশিয়ার পক্ষে যাচ্ছে’ এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য ‘খুবই সুবিধাজনক’। পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারাই এর খসড়া তৈরির কাজ করেছেন।

তবে লন্ডনভিত্তিক চিন্তক প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের রাশিয়ান সামরিকবিশেষজ্ঞ কিয়ের জাইলস আল–জাজিরাকে বলেন, এই প্রস্তাব হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেনি। তিনি এ প্রস্তাবের উত্থাপনকে ‘বাস্তবতার ভিত্তি না হয়ে একটি রুশ তথ্যযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন, যা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম আবারও সানন্দে গ্রহণ করেছে।

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে অগ্নিনির্বাপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। ২০ নভেম্বর ২০২৫, টারনোপিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ