বন্দরে আ’লীগ নেতা লিটন মেম্বার গ্রেপ্তার
Published: 26th, September 2025 GMT
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বন্দর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা লিটন(৫০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার লিটন বন্দর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিবিজোড়া এলাকার আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে বৈষম্য বিরোধী ১১(৯)২৪নং মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫সেপ্টম্বর) রাতে বন্দর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডস্থ শাহসাহেবের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ ইং সালের ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বন্দর খেয়াঘাটে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর আ'লীগ ও যুবলীগ নেতারা সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার সন্দেহে বন্দর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আ'লীগ নেতা লিটনের সম্পৃক্ততা থাকার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
শত বছর পেরিয়ে ‘শান্তির মিষ্টি’
বহু বছর আগে ইছামতী নদীর তীরে গড়ে ওঠে বান্দুরা বাজার। ব্রিটিশ আমলেই এটি ব্যবসাসমৃদ্ধ ‘গঞ্জ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। সেখানেই নন্দ কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিক্রমপুর অনন্তদেব মিষ্টান্ন ভান্ডার’। পরে নাম বদলে হয় ‘শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার’। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঘোষ পরিবার ধরে রেখেছে এ ব্যবসা। এলাকার মানুষের কাছে একনামে পরিচিত ‘শান্তির মিষ্টি’ হিসেবে।
সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী দোকানটির কর্মীরা বেশ কর্মব্যস্ত। লাকড়ির চুলায় তৈরি হচ্ছে রসগোল্লা। পাশে দুধ জ্বাল দিচ্ছেন কারিগরেরা। দোকানের ক্যাশে বসে আছেন প্রবীণ সহদেব ঘোষ, হাসিমুখে ক্রেতাদের সামলাচ্ছেন। তাঁর দোকান-বাসা একই ছাদের নিচে।
প্রায় ৭০ বছর আগে সহদেব ঘোষ তাঁর বাবা মোহন লাল ঘোষের হাত ধরে এ ব্যবসায় নামেন। এখন বয়স ৯০ বছর। এ বয়সেও দোকানের দেখভাল করেন। সহদেব ঘোষ বললেন, এই ব্যবসাই তাঁর জীবনের অবলম্বন। তাঁর সন্তানেরা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকলেও ছোট ছেলে সুধীর ঘোষ তাঁর সঙ্গেই থেকে দোকান চালান। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান তাঁরা।
কারিগর সিদ্দিকুর রহমান ১২ বছর ধরে কাজ করছেন এখানে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খাঁটি দুধের ছানা ব্যবহার করি। কোনো পানি বা ভেজালের সুযোগ নেই।’ দোকানের বিক্রয়কর্মী শ্যামল বলেন, ‘প্রতিদিন এত ক্রেতা আসে যে সামলানোই মুশকিল। তবে এই ভিড়েই আনন্দ লাগে!’
সহদেব ঘোষের ছোট ভাই মধু ঘোষ জানান, তাঁদের পরিবার প্রায় ১৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পুরো বান্দুরা বাজারে একটাই মিষ্টির দোকান ছিল—এই শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার। এখন প্রতিদিন ২০০-৩০০ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়, মৌসুমভেদে তা বাড়ে বা কমে। অনেকে ফোনে অর্ডারও দেন। তাঁদের দোকানে মিষ্টির দাম শুরু ২৮০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দামের মিষ্টি পাওয়া যায়। দেড় টাকা কেজি দরে মিষ্টি বিক্রি করে দোকানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানান মধু ঘোষ।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্রিটিশ আমলে বান্দুরা ছিল নদীবন্দর ও ধানের আড়তের জন্য খ্যাত। খ্রিষ্টানপল্লির কারণে ব্যবসাও জমজমাট ছিল। সেই সময় থেকে শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করে।
রসগোল্লা, মালাইচপ, চমচম, দই, রসমালাইসহ নানা ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দোকানে