গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক সদস্য। 

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

নীলফামারীতে গণঅধিকার পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ 

গোপালগঞ্জের আরো ২ আ.লীগ নেতার পদত্যাগ

পদত্যাগকারী রোমজেদ সিকদার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার জন্য সিভি জমা দিয়েছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রোমজেদ সিকদার বলেছেন, আমি যেহেতু জনপ্রতিনিধি, তাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার সমর্থকরা ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি করার জন্য একটি সিভি জমা দিয়েছিল। তবে, সেই কমিটি আর গঠন হয়নি। এর আগে আমি আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো পদে ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমি বহুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছি। তাই, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না। আমার অজান্তে যদি আওয়ামী লীগের কোনো পদ-পদবি থেকে থাকে, আমি সেগুলো থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।  

এর আগে গত ১৩ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওশের ফকির ও একই ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী। ২১ আগস্ট একইভাবে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রহমান সিকদার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় এ নিয়ে মোট চারজন পদত্যাগ করলেন।

ঢাকা/বাদল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ আওয় ম ল গ আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”

আরো পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”

“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”

জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।

এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ