সিলেট মহানগর এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন, মহানগরের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পুলিশ কমিশনারের দেওয়া এমন একটি নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

যোগাযোগ করলে পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বলছি একটা, ড্রাফট করছে আরেকটা। আমার অগোচরে এটা সই হয়ে গেছে। আমরা কারেকশন দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের ফেসবুক পেজে সেটা আপনারা পেয়ে যাবেন।’

ছড়িয়ে পড়া নির্দেশনায় লেখা রয়েছে, ‘ডিসেম্বর/২০২৫ খ্রি.

মধ্যে এসএমপির আওতাধীন এলাকায় কোনো আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে যাতে এলাকায় না থাকতে পারে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সব অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিরা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী সিলেটে পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকের পর গত রোববার পুলিশ কমিশনার স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা মহানগর পুলিশের ছয় থানার ওসিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা-সংবলিত চিঠির ১৩ নম্বর ও সর্বশেষ সিদ্ধান্তটিই ফেসবুকে ছড়িয়েছে।

এদিকে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেসবুকে যেটি ছড়িয়েছে, এটি সঠিক নয়। পুলিশ কমিশনারের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের বক্তব্য অনুযায়ী সিদ্ধান্তটি অন্য রকম ছিল। ওই সিদ্ধান্ত সিলেট মহানগর পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়েছে।’

পরে মহানগর পুলিশের ফেসবুক পেজে গিয়ে একটি নির্দেশনা পাওয়া যায়। এটি এমন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত দলের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে এবং প্রকাশ্যে যেন কোনো মিছিল-মিটিং করতে না পারে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিরা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’

মহানগর পুলিশের ফেসবুক পেজে নির্দেশনা দেওয়ার আগে লেখা হয়েছে, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনা বলে একটি বক্তব্য লিখে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। বিভ্রান্তিকর তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে অনুরোধ করছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ফ সব ক প জ প রক শ য

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ