অদূর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই: আসিফ নজরুল
Published: 1st, October 2025 GMT
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে বরিশাল নগরীর শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন একটি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়, স্থায়ী নাকি অস্থায়ী—এ ধরনের প্রশ্ন থাকে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হবে, এমন কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না। নির্বাচনের আগে তো দূরের কথা, অদূর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞা উইথড্র হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
সারা দেশে দুর্গাপূজা আনন্দের সঙ্গে উদ্যাপিত হচ্ছে দাবি করে আসিফ নজরুল বলেন, প্রতিটি ধর্মের মানুষই বাংলাদেশের নাগরিক। ধর্ম পালন প্রত্যেকের সমান অধিকার।
বিদেশি গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের একটি প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর এক মিনিটও থাকার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা চেয়েছিলাম, বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়ে যাক। এরই মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে ৯ থেকে ১০টি সংস্কার হয়েছে।’
আইন উপদেষ্টা আজ দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউসে পৌঁছে নগরীর নতুনবাজার–সংলগ্ন শংকর মঠসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট ন উপদ ষ ট আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি