মা ইলিশ রক্ষায় এ বছর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ড্রোন দিয়ে পাহারা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘এ বছর মা ইলিশ রক্ষায় পুলিশ, নৌবাহিনী ছাড়াও বিমান বাহিনী ড্রোন দিয়ে কাজ করবে।’’

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের রণদা প্রসাদ সাহার দুর্গামন্দির পরিদর্শন এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ফরিদা আক্তার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক, সুইজারল্যান্ডের অ্যাম্বাসির ডেপুটি হেড অফ মিশন দীপক ইলমার শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে টাঙ্গাইলে আসেন।

আরো পড়ুন:

মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামানো সম্ভব, আশা অর্থ উপদেষ্টার

দুর্নীতিগ্রস্ত উপদেষ্টাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে এনসিপি, জানালেন নাসীরুদ্দীন

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো এ বছরও মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অক্টোবরের ৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। আমরা গত বছর যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তাতে সফলতা আসে। এতে করে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ মা ইলিশ রক্ষা হয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘ইলিশ মাছ কম আহরণ হওয়ার মূল কারণ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল। সেই কারণে এ বছর আমরা একটু বেশি সর্তক থাকব। আশা করছি, এ বছর একটু বেশি ইলিশ রক্ষা করতে পারব।’’ 

এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘‘সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না। সংখ্যালঘু শব্দটাই তো ঐক্যের বিপরীতে দাঁড়ায়। আমরা একতার কথা বলতে এসেছি। সকল সংস্কৃতিকে ভালবেসে এই দেশটা সুন্দর করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি।’’

এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

মৌসুম শেষে খালি ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরছেন জেলেরা

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা।

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে সাগর। ফলে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল থেকে একে একে ফিশিং ট্রলারগুলো কূলে ফিরতে শুরু করেছে।

আরো পড়ুন:

পটুয়াখালীতে ৫ কেজির পোয়া মাছ ৮০ হাজারে বিক্রি

পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল ১১ কেজির কাতল

ঘাটে ফেরা জেলেরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে তারা শেষ ট্রিপে সাগরে গিয়েছিলেন। প্রথম দিকে জাল ফেলতে পারলেও বুধবার থেকে প্রবল বাতাস শুরু হয়। এতে বাধ্য হয়ে দ্রুত জাল গুটিয়ে ঘাটে ফিরতে হয়েছে। পর্যাপ্ত মাছ ধরা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ ট্রলারই খালি হাতে ফিরে এসেছে।

শরণখোলা মৎস্য আড়ৎদার মো. কবির হাওলাদার বলেন, “বড় ট্রলারগুলো এবার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রতিটি ট্রলারে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হলেও একটিতেও আশানুরূপ মাছ উঠেনি। তবে ছোট ট্রলারগুলোতে অল্প পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গেছে।”

শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, “এবার এমনিতেই ইলিশ তেমন পাওয়া যায়নি। আশা ছিল, নিষেধাজ্ঞার আগের শেষ ট্রিপে কিছুটা ক্ষতি পোষানো যাবে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় বড় ট্রলারগুলো প্রায় শূন্য হাতে ফিরেছে। এতে ট্রলার মালিক ও জেলেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।”

শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। মৌসুম শেষ হওয়ার আগে বৈরি আবহাওয়ার কারণে জেলেরা আশানুরূপ মাছ আহরণ করতে পারেননি। ইতোমধ্যে অনেক ট্রলার সাগর থেকে ফিরে এসেছে।”

তিনি আরো বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শহিদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৌসুম শেষে খালি ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরছেন জেলেরা