আমাদের পাকা ধান কাউকে কেটে নিয়ে যেতে দিবো না : সাখাওয়াত
Published: 4th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, খুনি স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আমরা ১৭ বছর মাঠে ছিলাম।
সেই আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হচ্ছে জুলাই বিপ্লব। এই জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে খুনি হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে এবং একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।
এই অন্তর্র্ব্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা। সেই নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল চারটায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজী ইব্রাহীম আলমচান স্কুল হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এড.
কিন্তু আমরা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তা কখনো হতে দেব না। রাজপথের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই সেই ধান বিএনপির ঘরে তুলবে।
তিনি শিল্পপতি মডেল মাসুদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একজন শিল্পপতি বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন আমি এখানে এসে জানতে পারলাম তিনি ২০০/৫০০ টাকা দিয়ে লোকজনকে নিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তিনি কতদিন এই টাকা দিবেন। সর্বোচ্চ জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দিবেন। তারপর আর তাদের দরজার সামনেও আপনারা যেতে পারবেন না।
তিনি বন্দরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দুঃসময়ে এসব শিল্পপতিদের কাছে পাবেন না। কারণ তারা দলের সুসময়ে এসেছে টাকা কামানোর জন্য। আওয়ামী লীগের আমলে সালমান এফ রহমানের মতো ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এসে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
এসব দেখে অনেকের মুখ থেকে লালা ঝরছে, তারাও চাইছে সালমান এফ রহমানের মত টাকা কামানোর জন্য। তাই তারা বিএনপির মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এডভোকেট সাখাওয়াত দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তিনি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। গত ১৭ বছর যারা রাজপথে ছিলো, মামলা হামলা খেয়েছে, জেল খেটেছে তাদেরকেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন, কোনো শিল্পপতিতে নয়।
আমাদের মূল লক্ষ্য হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করা, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা। আমরা এমপি হতে পারি বা না পারি সেটা নির্ভর করবে আমাদের ভাগ্যের উপর এবং দলের হাই কমান্ডের উপর।
কিন্তু আমরা আমাদের পাকা ধান কাউকে কেটে নিয়ে যেতে দেব না। আপনারা যারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন তাদের সকলকে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। ২০০/৫০০ টাকার লোভে নিজের বিবেককে বিক্রি করবেন না।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি শাহদুল্লাহ মুকুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোঃ রেজা রিপন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মুজিবুর রহমান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম ব এনপ র র ব এনপ শ ল পপত আম দ র রহম ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নেপালে আবার উত্তেজনা, তরুণদের বিক্ষোভের পর জারি কারফিউ
নেপালে সিপিএন-ইউএমএল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের এক দিন পর আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সিমারা এলাকায় ‘জেন–জি’ প্রজন্মের তরুণ আবার রাস্তায় নেমেছেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় সময় রাত আটটা পর্যন্ত ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভকারীরা সিমারা চকে জড়ো হতে শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষ বেলা পৌনে একটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে। সহকারী প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছবিরামন সুবেদি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান জেলা কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জিতপুরসিমারা সাব-মেট্রোপলিটন সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ধন বাহাদুর শ্রেষ্ঠ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন আনসারি।
বিক্ষোভের কারণ
বিক্ষোভকারী তরুণদের অভিযোগ, বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁরা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেনি।
‘জেন–জি’ জেলা সমন্বয়ক সম্রাট উপাধ্যায় বলেন, তাঁরা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে এখনো আটক করা হয়নি। এ কারণেই তাঁরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
বুধবারের সংঘর্ষে ছয়জন ‘জেন–জি’ সমর্থক আহত হয়েছিলেন।
বুধবার দিনভর ‘জেন–জি’ প্রজন্মের তরুণ ও ইউএমএল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘর্ষ সিমারা বিমানবন্দরের কাছে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে, ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রমও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়।
ইউএমএল বুধবার পারওয়ানিপুরে তাদের দলীয় কর্মসূচি ‘যুব জাগরণ অভিযান’ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইউএমএল-এর সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখরেল এবং পলিটব্যুরো সদস্য মহেশ বসনেটের কাঠমান্ডু থেকে সিমারা বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সম্রাট উপাধ্যায় ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ‘হত্যার রাজনীতি করা বিদায়ী সরকারের’ বিরুদ্ধে সিমারায় প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান। এই পোস্টটি জেলাজুড়ে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছিল। এতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রায় ১০০ থেকে দেড় শ তরুণ সিমারা চকে জড়ো হন। জানা যায়, তাঁদের অনেকেই ইউএমএল নেতা মহেশ বসনেটের আগমন নিয়ে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করছিলেন। কারণ, অতীতে আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে তিনি কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।