মানিকগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আহত
Published: 5th, October 2025 GMT
মানিকগঞ্জ শহরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল ওই দোকান থেকে ২০–২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় দোকানের মালিক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার স্বর্ণকারপট্টিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত দোকানি শুভ দাসকে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পশ্চিম দাশড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম দাশড়ার স্বর্ণকারপট্টির পাণ্ডব ভবনের নিচতলায় অবস্থিত শুভ দাসের ‘অভি অলংকার’ নামে একটি স্বর্ণালংকারের দোকান। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই দোকানে ডাকাত দল হানা দেয়। দোকানের ভেতর কয়েকজন প্রবেশ করে। শুভ দাসের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে জিম্মি করে দোকানের ভেতর লকার ভেঙে ২০–২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। বাধা দিলে শুভকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে ডাকাতেরা। এতে শুভ গুরুতর আহত হন। তাঁকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে গতকাল রাতেই মানিকগঞ্জ সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ডাকাত দল ওই দোকান থেকে ২০–২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে, যার বাজারদর আনুমানিক ৩৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র ওই দ ক ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমি ব্যর্থ হয়েছি: বাঁধন
কখনো পরিবার, কখনো সমাজ—সবাই চেয়েছে তাকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালতে। কিন্তু বাঁধন ভেঙেছেন সেই ছাঁচ। হ্যাঁ, তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ‘প্রত্যাশিত নারী’ হতে, অথচ সেই ব্যর্থতাকেই এখন মনে করছেন জীবনের বড় সাফল্য।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নিজেকে ‘সমাজ আর একজন অস্বস্তিকর নারী’ আখ্যায়িত করেছেন বাঁধন। সেখানে তিনি খোলামেলা স্বীকার করেছেন নিজের ব্যর্থতার কথাও।
আরো পড়ুন:
আলোচনায় নুহাশ হুমায়ূনের ফেসবুক পোস্ট
বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
বাঁধন লিখেছেন, “আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখবে। অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেওয়া মেয়ে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। চেষ্টা করেছিলাম পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, সমাজের বানানো ‘নারী’ হয়ে বাঁচতে। কিন্তু পারিনি। আর আজ, সেই ব্যর্থতার জন্যই আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই।”
ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি অন্য কারো স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা হয়তো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ হয়তো অনেকের স্বস্তি ভেঙে দেয়। আমি সহজ নই, কিন্তু নির্মমও নই। আমি কাউকে আঘাত করি না, অসম্মানও করি না—যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।”
কয়েক দিন পরই ৪২ বছরে পা দেবেন এই অভিনেত্রী। বয়সের এ পর্যায়ে তিনি খুঁজে পেয়েছেন ভেতরের শান্তি। বাঁধনের ভাষায়, “চল্লিশের পর আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে—স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ কষ্ট পেলে উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক—আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, যত মানুষ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে ভালোবাসি।”
তার পোস্টের শেষ লাইনগুলোতে উঠে এসেছে আত্মসম্মান আর আত্মবিশ্বাসের এক দৃঢ় উচ্চারণ, “আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত