যাকেই ধানের শীষের নমিনেশন দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবেন : সাখাওয়াত
Published: 5th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবের পরে বিএনপির কিছু নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে অযথা মিথ্যা মামলায় তাদেরকে জড়ানো হয়েছে। সে বিষয়ে আমি বলতে চাই যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেই মামলার সূত্র সহ সকল মামলার ডকুমেন্টসহ পুলিশ সুপার বরাবর একটা দরখাস্ত লিখবেন আগামী দুই দিনের মধ্যে।
সেটা দেখবেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মামলার নম্বর সহকারে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে জমা দিবেন তারা আমাদের কাছে জমা দিবে। যারা বিএনপি করে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সুপারিশ করে আমাদের কাছে জমা দিবেন।
আমরা সেটাকে এসপির কাছে গিয়ে জমা দিব। আমরা চাই না এই এলাকার যারা বিএনপি করেছে তারা কোন মিথ্যা মামলা হয়রানি হোক । ইনশাল্লাহ আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন যারা মিথ্যা মামলা খেয়েছেন তাদেরকে সেই মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। আর আমরা সফল হবো ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা বিএনপির অন্তর্গত আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক ইউনিয়নে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাদের এই আলীরটেক ইউনিয়নটি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু তাতে আমাদের কোন ক্ষতি নাই আপনারা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক আওতাধীন।
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে অনেককেই প্রার্থী থাকবে। আপনারা কোন প্রার্থীকে অবলম্বন করবেন না। আপনার অবলম্বন করবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ ও ধানের শীষের পক্ষ।
আপনারা সবাই ধৈর্য ধারণ করে থাকবেন। যেই নমিনেশন পাবে আর যাকেই ধানের শীষের নমিনেশন দেওয়া হবে তার পক্ষে আপনারা সবাই কাজ করবেন। সেই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিএনপিকে বিজয় করে বিএনপিকে সুসংগঠিত করা যায়।
তিনি আরো বলেন, আজকে ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভায় অনেক ওয়ার্ডের সভাপতি সেক্রেটারি নেই কিন্তু হাজির হয় নাই। এতে করে বুঝা যায় তারা অযোগ্য। অযোগ্যতা দিয়ে আর ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি হবে না।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যারা নিষ্ক্রিয় তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা সক্রিয় যারা আন্দোলন সংগ্রামী ছিল তাদেরকে নিয়ে নতুন করে কমিটি করে থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির জমা দিবেন। ইনশাল্লাহ দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেই কমিটির অনুমোদন করিয়ে দিব। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন আমরা বিএনপি করি। আমরা পরস্পর পরস্পরের ভাই।
আমাদেরকে একসাথে থাকতে হবে। আমরা যদি নিজেদের মধ্যে কাটা ছোটাছুটি করি তাহলে আমাদের প্রতিপক্ষ দেখবেন তারা কিন্তু এই নির্বাচনে সুবিধা নিবে। সুতরাং আপনারা কিন্তু সেই সুবিধাটা তাদেরকে নিতে দিবেন না।
আমাদের সবাইকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে দল ও ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে জন্য কাজ করতে হবে।
পরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ন ব এনপ ক জ কর আম দ র ত দ রক করব ন আপন র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
না বুঝে ভোট দেওয়ার দিন শেষ : নূরুল হক নূর
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ কোন পথে পরিচালিত হবে। আপনারা ভালো মানুষকে ভোট দিলে দেশে সুন্দর হবে। আর যদি না বুঝে, না দেখে স্লোগান দিতে থাকেন-তাহলে জেনে রাখুন, না বুঝে ভোট দেওয়ার দিন শেষ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর গণ অধিকার পরিষদের ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক সমাবেশে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মাদক, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত আগামীর সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ পড়ার প্রত্যয় নিয়ে চাষঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সামাবেশের আয়োজন করা হয়।
নূর বলেন, এখনো আমরা কারো সঙ্গে জোট করিনি। দেশের পরিবর্তন, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিষয়ে তাদের অবস্থান কী হবে-এগুলো স্পষ্ট হওয়ার পর আমরা জোট করবো। তার বাইরে জোট করব না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে শহীদদের রক্ত অনেক ক্ষেত্রেই বিফলে গেছে। আমরা চাই সহনশীলতা ও সম্প্রীতির নতুন রাজনীতি। আমরা চাই একটি নিরাপদ বাংলাদেশ। তাই আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নূর বলেন, আগেও গণ অধিকার পরিষদের দুটি সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে হয়েছে। সমাবেশে তিনি তরণদের কাছে প্রশ্ন রাখেন,যে স্বপ্নের জন্য আপনারা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছিলেন, সে স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে ? তা হয়নি। আমরা আর রক্ত দেব না। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গঠন করব।
যুব অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি শেখ সাব্বির রাজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শুভর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির গৃহায়ন ভূমি ও পূনর্বাসন সম্পাদক আবুল খায়ের শান্ত, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রকৌশলী নাহিদ,সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি প্রকৌশলী আরিফ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রাহুল আজিম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির আহ্বায়ক আল মাহমুদ শরীফ প্রমুখ।