আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা ও লিফলেট বিতরণ
Published: 5th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা বিএনপির অন্তর্গত আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক ইউনিয়নে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র মাহবুবুল আলম জুলহাস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেনস, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্মৃতি রানী বর্মণ (২৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সাত ভাইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
নিহত স্মৃতি রানী বর্মণ কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তিনি সোনারগাঁয়ের বেনু চন্দ্র বর্মণের ছেলে সনজিৎ চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই শ্যামু চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে স্বামী সনজিৎ চন্দ্র বর্মণ, শ্বশুর বেনু চন্দ্র বর্মণ, শ্বাশুড়ি জোসনা রানী বর্মণ, আত্মীয় স্বরসতি চন্দ্র বর্মণসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ আসামিরা ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্মৃতি রানীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক ধাপে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার পরও তারা বাকি ২ লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
গত ২ অক্টোবর রাতে স্মৃতি রানী তার ভাইকে ফোন করে জানায়, যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন হুমকি দিয়েছে। পরদিন সকালে আবারও ফোনে যৌতুকের টাকা দাবি করা হয়।
বিকেলে পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে কুমিল্লা থেকে সোনারগাঁয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে দাউদকান্দি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা ফোনে জানায়, স্মৃতি রানী অসুস্থ হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। পরে পরিবার হাসপাতালে গিয়ে স্মৃতি রানীর মরদেহ দেখতে পান।
নিহত স্মৃতি রানী বর্মণের ভাই শ্যামু চন্দ্র বর্মণ বর্মণ বলেন আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে স্মৃতি রানীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম খাঁন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা নেওয়া হয়ছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়ছে।আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।