পিআর পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকে না: এমরান সালেহ
Published: 5th, October 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বলেছেন, ‘জনগণ পিআর পদ্ধতি বোঝে না। পিআর পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকে না। সেখানে জনগণের সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে দলীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা হবে। তাই জনগণ পিআর নয়, সনাতন পদ্ধতিতে প্রার্থী, মার্কা, দল দেখে কাগজের ব্যালটে সিল দিয়ে ভোট দিতে চায়।’
আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে ধারা ইউনিয়নের আলেম ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমরান সালেহ এসব কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ‘কয়েকটি দল ইসলামের নামে কোটা রাজনীতি করতে চায়। বিএনপি ও বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ এটা হতে দেবে না। আমরা বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি। অবশ্যই অন্য ধর্মের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি ও করব। রাজনীতি দিয়ে যারা ইসলামকে বিভক্ত করতে চায়, তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। যারা বলে তাদের দলের সদস্য হলে বা তাদের প্রার্থীকে ভোট দিলে জান্নাতের টিকিট পাওয়া যাবে, তারা ইসলামের বন্ধু হতে পারে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ক্ষমতার জন্য তারা ভারসাম্যহীন অপপ্রচার করছে। এরা এত দিন পরগাছার মতো রাজনীতি করেছে। আগাগোড়া বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় রাজনীতি করে এখন এরা বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে। জামায়াত ৫ আগস্টের পর রহস্যজনক কারণে একের পর এক জাতীয় স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী স্টাইলে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।’
বিএনপি জনগণের রায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা পেলে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন হবে না উল্লেখ করে এমরান সালেহ বলেন, ‘বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধ ও ইসলামি রীতিনীতি, সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। অন্য ধর্মকর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও মূল্যবোধকেও বিএনপি সম্মান করে। তাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করে। বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে দলের প্রধান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার জোরে তা বাতিল করে দিলেও বিএনপি আবার তা পুনঃস্থাপন করতে প্রস্তাব দিয়েছে। সেই দল কখনো ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে পারে না।’
হালুয়াঘাট উপজেলার মাঝিয়াইল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূর হোসাইনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরফান আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, জেলা ওলামা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমর ন স ল হ আহ ব য ক ব এনপ র জনগণ র র জন ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোটকে নির্বাচনের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, অভিযোগ তাহেরের
অন্তর্বর্তী সরকার চালাকি করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
সরকারের উদ্দেশে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জনগণের দাবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। সরকার চালাকি করে সময়ক্ষেপণ করছে। এই করব সেই করব করে তারা গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এরপর তারা বলবে আর আলাদা করে (গণভোট) করার সময় নেই। অথচ নির্বাচনের তফসিল হলেও গণভোট আলাদা করে আগে হতে কোনো আইনি বাধা নেই। তাই গণভোটের পরেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এ সভার আয়োজন করে।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল চায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজন হোক। কিন্তু জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক আটটি দল নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে।
আলোচনা সভায় বিএনপিকে উদ্দেশ করে মুহাম্মদ তাহের বলেন, যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় না, তারা কেন চায় না, সেটি জামায়াত জানে। ডাকসু নির্বাচনের পরে তারা আর কোনো নির্বাচন মানতে পারেনি। আর কোনো ‘টেস্ট কেসে’ তারা যেতে চায় না। কারণ, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হলে ৮০ শতাংশ লোক সংস্কারের পক্ষে ভোট দেবে।
তাহের বলেন, জামায়াত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। তার আগে গণভোট চায়। জনগণ গণভোটে ‘না’–এর পক্ষে ভোট দিলে জামায়াত সেটি মেনে নেবে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, অনেকে এখন বলে, আজকের বিএনপি জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়। জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর বিএনপি বড় দল ছিল। তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া যখন সক্রিয়ভাবে এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন, তখনো বিএনপি অনেক জনপ্রিয় দল ছিল। এখনো বিএনপি অনেক বড় দল। কিন্তু জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়ার সময়ের মতো জনপ্রিয় কি না, প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আরও পড়ুনজামায়াতসহ সমমনা দলের গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: মির্জা ফখরুল৭ ঘণ্টা আগে