চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ১৫টি কেন্দ্রে। পাঁচটি অনুষদ ভবনের ৬৫টি কক্ষে শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন। একজন ভোটার কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন।

আজ রোববার প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন মিলনায়তনে এ সভা হয়েছিল।

সভায় এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ, পুরোনো কলা অনুষদ, নতুন কলা অনুষদ, ব্যবসায়ী প্রশাসন অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ—এই পাঁচটি অনুষদ ভবনকে আমরা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করেছি। এ পাঁচটিতে ১৪টি প্রিসাইডিং কক্ষ ও ৭টি সাব-প্রিসাইডিং কক্ষসহ মোট ৮৬টি নির্বাচনের জন্য থাকবে। প্রতি কক্ষে পাঁচটি ব্যালট বাক্স থাকবে। চারটি ব্যালট বাক্স চাকসু নির্বাচনের ও একটি হল সংসদের। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন।’

নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব বলেন, পুরোনো কলা অনুষদে সোহরাওয়ার্দী হল, নতুন কলা অনুষদে শাহজালাল, এ এফ রহমান ও আলাওল হল, বিজ্ঞান অনুষদে শাহ আমানত, শহীদ আবদুর রব ও মাস্টারদা সূর্য সেন হল, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে নওয়াব ফয়জুন্নেসা, শামসুন্নাহার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও অতীশ দীপঙ্কর হল, আর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রীতিলতা, বিজয় ২৪, শহীদ ফরহাদ হোসেন হল ও শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলে ভোট হবে।

জালিয়াতি ঠেকাতে ‘কড়া নজরদারি’

সভায় আইসিটি সেলের প্রধান সাঈদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য ৪১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। ব্যালট পেপারে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হবে। এ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বহুনির্বাচনী খাতা গণনা করা হয়।’

সেলের পরিচালক বলেন, ‘প্রতিটি ব্যালট পেপারে আলাদা নিরাপত্তা কোড থাকবে। এই কোডের মাধ্যমে আমরা যাচাই করতে পারব—ব্যালটটি আসল না নকল। কোনো বহির্ভূত কাগজ যদি ওএমআর মেশিনে আসে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটি শনাক্ত করতে পারব। ব্যালটে শুধু নাম ও ব্যালট নম্বর থাকবে। একাধিক নাম থাকলে ডাকনাম যোগ করা হবে।’

মতবিনিময়ের এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন, কমিশনার অধ্যাপক মু.

জাফর উল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, মো. আনোয়ার হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী প্রমুখ।

তিন দশক পর সপ্তম চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৫ অক্টোবর। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে হল সংসদ নির্বাচনও। নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় ২৭ হাজার। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চাকসু ও হল সংসদে চূড়ান্ত প্রার্থী আছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। হল সংসদে নির্বাচন করবেন ৪৮৬ জন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

সাইফের ছক্কা বৃষ্টিতে আফগানিস্তান হোয়াইটওইয়াশ

ছোট লক্ষ্য। ভালো শুরুর পর একেবারেই ছন্দে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই। নখ কামড়ানো মুহূর্ত৷ স্নায়ুযুদ্ধ। শেষমেষ বিজয়ের হাসি। 

শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটির চিত্র একেবারেই একই রকম৷ প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্টই যেন হুবহু আগের ম্যাচের মত। পার্থক্য থাকে কেবল ম্যাচের নায়কের। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে ৮৮ রানে হারাল ভারত

শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আজকেই। ৪ ও ২ উইকেটের পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। সবচেয়ে বেশি ১২ বল হাতে রেখে আজকেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি। 

বড় রান না হওয়াতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজ ঠিক পাওয়া যায়নি৷ তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং পায়। দিনকে দিন রান কেবল কমেছে৷ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭। আজ আরো ৪ রান কমেছে, ৯ উইকেটে ১৪৩।  

বাংলাদেশের জয়ের নতুন নায়ক সাইফ হাসান ছক্কা বৃষ্টি নামান শারজাহতে। ৩৮ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাইফ। দু-একটি শট এদিক-সেদিক হয়েছে। নয়তো পুরো ইনিংসই ছিল শিল্পীর আরাধ্য ক্যানভাস। যেখানে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে সাইফ ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। 

আগের দুই ম্যাচের মত আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডের নাটাইটা এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি বোলাররা। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদেরকে থিতু হতে দেননি৷ সঙ্গে রানের চাকায় লাগাম টেনে রেখেছিলেন।

স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে আফগানিস্তান ১৪৩ রান করবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু ঢিলেমি দেওয়ায় কয়েকটি বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাটে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন দারউইস। মুজিব ২৩ রান করে কিছুটা মান রাখেন। 

সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ