প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ~একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ গঠনের জন্য মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা জরুরি। মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য মননশীলতার বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সুকুমার বৃত্তির চর্চার মাধ্যমে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, প্রকৃতির প্রতি মমত্ববোধ এবং ঔচিত্যবোধ জাগ্রত হয়।“

রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিশু-কিশোর সংগঠন কচি-কাঁচার মেলার ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু তায়েবা হত্যার বিচার দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ দিন ধরে বন্ধ টিকাসেবা

ডা.

বিধান রঞ্জন বলেন, “আমাদের দেশে কচি-কাঁচার মেলার মতো অনেক শিশু সংগঠন এক সময় প্রসার লাভ করেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর কার্যক্রম ক্রমশ সংকুচিত হয়ে এসেছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। তবে কচি-কাঁচার মেলা এখনো শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা বিকাশে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতেও তারা এই ধারা অব্যাহত রাখবে।”

কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার শিশু সদস্য জায়ান অ্যাডাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ এবং কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলকাতায় জমজমাট ‘দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল’

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইউনেসকো ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পূজার আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সাল থেকে দুর্গাপূজা শেষে কলকাতা ও শহরতলির সেরা প্যান্ডেল ও প্রতিমাগুলোকে নিয়ে বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যালের আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যাল। রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় এ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্নিভ্যালে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নিয়েছে শ্রীভূমি স্টেটিং ক্লাব, সন্তোষ মিত্র স্কয়ার, কলেজ স্কয়ার, কুমারটুলী পার্ক, আহিরীটোলা সর্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সংঘ, যোধপুর পার্ক, হাতিবাগান সর্বজনীন, সিংহী পার্ক, শিয়ারদহ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, বাগবাজার সর্বজনীন, শোভাবাজার রাজবাড়ি, সিকদার বাগান দুর্গোৎসব, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বোসপুকুর শতিলা মন্দির, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, মহম্মদ আলি পার্ক সর্বজনীন, শিবমন্দির পূজা কমিটি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ, মানিকতলা চালতাবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবসহ মোট ১১৬টি পূজা কমিটি।

কার্নিভ্যালে কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। ইউনেসকো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভুটানের কূটনীতিকেরা এদিন উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। ৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ