গানে, সুরে আর কবিতায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় সিডনির গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে আয়োজিত এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্রোহী কবির কালজয়ী সৃষ্টিতে মেতে ওঠেন দর্শক-শ্রোতারা। সিডনির সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুরেরধারা’ এই নজরুলসন্ধ্যার আয়োজন করে।

‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’ এবং ‘তোমার বীণ তারের গীতি’—এই দুটি সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সরোদ ও তবলার ধ্রুপদি যুগলবন্দীতে মিলনায়তনে এক শান্ত ও মোহময় আবেশ তৈরি করেন শিল্পী তানিম হায়াত খান এবং অভিজিৎ দান।

আরও পড়ুনঅপু আসেননি, নকুলে মাতল সিডনি৩০ মে ২০২৫

অনুষ্ঠানের মূল পর্বে নজরুলের একক সংগীত পরিবেশন করেন সিডনির স্থানীয় শিল্পী সারা সিদ্দিকী নায়না, আফরোজা শারমিন পাপড়ি, সাজিয়া হাসান প্রৈতি, লুবাবা ইসলাম ও তামীমা শাহরীন। আয়োজক সংগঠনের প্রধান মামুন হাসান খানও দুটি একক সংগীত পরিবেশন করেন। নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোম চৌধুরীর মনোমুগ্ধকর নৃত্য এবং আবৃত্তিকার শাহীন শাহনেওয়াজের কণ্ঠে ‘আর বাঁশি যদি না বাজে’ কবিতাটি অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে আসা একজন দর্শক বলেন, ‘সিডনিতে বসে এমন শুদ্ধ নজরুলচর্চার আয়োজন দেখে মনটা ভরে গেল। মনে হচ্ছিল যেন ঢাকার কোনো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বসে আছি। আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ।’
আরেকজন তরুণ দর্শক তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রত্যেক শিল্পী অসাধারণ গেয়েছেন। যন্ত্রশিল্পীদের সংগতও ছিল চমৎকার। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে নজরুলকে এভাবে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ফারজানা আমবারীন জয়া।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই কি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক নানা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একটি নতুন কাঠামো তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ২৮ দফার পরিকল্পনা অনুযায়ী, কিয়েভকে (ইউক্রেনের রাজধানী) অস্ত্র এবং কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ বৃহস্পতিবার কিয়েভে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার ঠিক এক দিন আগে এ খবর প্রকাশিত হলো।

পরিকল্পনা সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে এবং এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কিয়েভকে কী কী ছাড় দিতে হতে পারে, তার কিছু বিবরণ তুলে ধরা হলো।

এই পরিকল্পনা কি সরকারি প্রস্তাব

না, এটি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রস্তাব নয়। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। এমনকি রাশিয়াও এমন কোনো শান্তি পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে।

তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম অজ্ঞাতনামা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। মার্কিন ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এবং যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা গত বুধবার প্রথম এই পরিকল্পনার বিবরণ প্রকাশ করে।

রয়টার্স অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কিকে ‘ইঙ্গিত’ দিয়েছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই এই মার্কিন পরিকল্পনা মেনে নিতে হবে, যার মধ্যে ভূখণ্ড এবং অস্ত্র সমর্পণ অন্তর্ভুক্ত থাকছে। আরেক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনিময়ে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টি পাবে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অজ্ঞাতপরিচয় এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, প্রস্তাবটি ‘গুরুত্বপূর্ণভাবে রাশিয়ার পক্ষে যাচ্ছে’ এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য ‘খুবই সুবিধাজনক’। পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারাই এর খসড়া তৈরির কাজ করেছেন।

তবে লন্ডনভিত্তিক চিন্তক প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের রাশিয়ান সামরিকবিশেষজ্ঞ কিয়ের জাইলস আল–জাজিরাকে বলেন, এই প্রস্তাব হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেনি। তিনি এ প্রস্তাবের উত্থাপনকে ‘বাস্তবতার ভিত্তি না হয়ে একটি রুশ তথ্যযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন, যা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম আবারও সানন্দে গ্রহণ করেছে।

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে অগ্নিনির্বাপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। ২০ নভেম্বর ২০২৫, টারনোপিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ