এক সময় চুটিয়ে প্রেম করেছেন বলিউডের তারকা জুটি রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও সময় তাদের আলাদা করে দিয়েছে। প্রাক্তন এই প্রেমিক যুগলকে একসঙ্গে দেখা গেল এয়ারপোর্টে। আর সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বিশেষ করে ভিডিওটির একটি মুহূর্ত নেটিজেনদের মন কেড়েছে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, দীপিকা ও রণবীর তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসছেন। বরাবরের মতো দীপিকা আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। আর তার পেছনে হাঁটছেন মুগ্ধ রণবীর। এ অভিনেতার ড্রাইভার তার গাড়ির দরজা খুলে দিলেও দীপিকার পেছনে হাঁটতে থাকেন রণবীর। এমনকি নিজের গাড়ি পেরিয়ে চলে যান। অন্যদিকে, দীপিকা নিজের গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন, তখন রণবীর হঠাৎ থমকে যান এবং বুঝতে পারেন নিজের ভুল। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে হেসে ফেলেন এই অভিনেতা। আর এই মুহূর্তটিই ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়েছে। 

আরো পড়ুন:

১২০ ক্রু সদস্য হাসপাতালে: রণবীরের সিনেমার শুটিং বন্ধ

নগ্নতা, অমিতাভ-রণবীরের কড়া সমালোচনায় বিতর্কিত আধ্যাত্মিক গুরু

ভিডিওটি দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। রত্না নামে একজন লেখেন, “দীপিকাকে দেখার পর রণবীর বাউলা হয়ে গিয়েছেন।” সংস্কৃতি লেখেন, “তার (রণবীর) মস্তিষ্ক তার (দীপিকা) চারপাশে ঘুরছে।” দেবী লেখেন, “আমি হাসি থামাতে পারছি না।” আফিয়া ইফতেকার লেখেন, “এটা দীপিকার প্রভাব।” জেনিল লেখেন, “রণবীর এখনো দীপিকাকে ভালোবাসেন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।  

রণবীর কাপুর ২০১৮ সালে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তারপর দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেন। তাদের প্রেম-বিয়ে নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের পালি হিলসের রণবীরের ‘বাস্তু’ বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর কন্যাসন্তান জন্ম দেন আলিয়া। 

রণবীরের কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দীপিকার জীবনে আসে রণবীর সিং। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘রাম-লীলা’ সিনেমার শুটিং সেটে একে অপরের কাছে আসেন এই জুটি। এরপরে বলিপাড়ায় রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন চাউর হয়। যদিও তারা শুরুতে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেন এই জুটি। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর কন্যাসন্তান জন্ম দেন দীপিকা পাড়ুকোন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র স রণব র ক প র চলচ চ ত র আল য় ভ ট রণব র র

এছাড়াও পড়ুন:

নিজেকে বোরিং পারসন মনে করেন মুশফিক

রংচটা ক্যাপ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—মুশফিকুর রহিমের প্রায় মিনিট বিশেকের সংবাদ সম্মেলনে উঠে এল পুরো ২০ বছরের পথচলাই। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার উপলক্ষ ঘিরে গত কদিন ধরে তাঁর জন্য স্তুতিবাক্য ভেসে এসেছে সব জায়গা থেকেই।

সাবেক ও বর্তমান সতীর্থ, কোচ, ভক্ত, ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট সবার মুখেই মুশফিকের পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার গল্প শোনা যাচ্ছে। শততম টেস্টের উপলক্ষের ম্যাচে মিরপুর টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আরও রাঙিয়েছেন মুশফিক।
এরপর আজ সংবাদ সম্মেলনে এলে নিজের আয়নায় কেমন, তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। মুশফিকের উত্তরের প্রথম বাক্যটা হাসির রোলই ফেলে দেয় সংবাদ সম্মেলনে, ‘সত্যি কথা যদি বলি, আমি একজন বোরিং পারসন।’

কেন নিজেকে ‘বোরিং পারসন’ মনে করেন, সেটির একটি ব্যাখ্যাও দেন মুশফিক, ‘প্রতিদিন অনুশীলনে আমি একই কাজ বারবার করে যাই। ২০ বছর ধরে করছি, নাকি পরে আরও ৪০ বছর বেঁচে থেকে তা করব, এটা কোনো ব্যাপার নয়। যদি নিজের ও দলের জন্য তা দরকারের হয়, আমি এটা করে যেতে পারব। পেশাদারির জায়গায় কোনো ছাড় নেই। আমি শূন্য করলাম নাকি ১০০, এটা আমার সাফল্য নয়; কারণ, এটা আমার হাতে নেই। চেষ্টা, প্রসেস, সততাটা আমার হাতে আছে। আমার জীবনে এটাই একমাত্র মোটো। এটা শুধু ক্রিকেটে না, আমার জীবনের সবকিছুতেই।’

২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় মুশফিকের। মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে পূর্ণ হয়েছে ১০০ টেস্ট। এই পথচলায় ৩টি ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন, এই সংস্করণে রান করেছেন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি।

পুরো পরিক্রমায় নাকি প্রক্রিয়াটা একই ছিল মুশফিকের, ‘আমি টিম হাডলেও (মাঠে ঢোকার আগের রিচুয়াল) একটা কথা বলেছি, ১০০ টেস্ট খেলেছি কিন্তু আমার মনে হচ্ছে প্রথম ম্যাচ খেলছি। একই রকম রোমাঞ্চ ছিল। প্রতিটা টেস্ট ম্যাচই আমার কাছে বিশেষ, প্রতিটা ম্যাচ যখন খেলতে যাই, আমি সেই প্রথমবারের মতোই প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করি। নিজের সম্পর্কে এতটুকুই বলতে পারি।’

পুরো যাত্রায় অনেক ত্যাগও করতে হয়েছে মুশফিককে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ক্রিকেটের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ কী ছিল তাঁর? এ প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য মুশফিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াতের প্রতি।

মুশফিক বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ত্যাগ আমার স্ত্রী করেছে। কারণ, আপনারাও হয়তো জানেন বা দেখেন যে আমি একটু অন্যদের তুলনায় বেশি অনুশীলন করি। কিন্তু এটা কখনো সম্ভব না, যদি আমার ঘরে এ রকম একটা পরিবেশ না থাকত।’

এরপর স্ত্রীর ত্যাগের উদাহরণও দেন মুশফিক, ‘আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলি, দেখা যায় যে আমার স্ত্রীর ওপর যে প্রত্যাশা আছে এবং সবাইকে ওভাবে ম্যানেজ করা, কিছু হলেই ওকে ফোন দিয়ে এটা সমস্যা বা জরুরি টাকার দরকার হলে বলে। আমার দিকে না এনে ও সবকিছু করতে পারে।’

নিজের দুই সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রেও স্ত্রীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন মুশফিক, ‘আমার দুটো বাচ্চা আছে। রাতে স্বাভাবিক ছোট বাচ্চারা সারা রাত ঘুমায় না। কিন্তু আমার কখনো একটাও নির্ঘুম রাত কাটেনি। কারণ, সে পুরাটা সময় সেই রাত জেগে বাচ্চাদের মানুষ করেছে এবং আমাকে ওই টেনশন থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। যে জন্য আমি সব সময় তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জান্নাতুল কিফায়াতকে বিয়ে করেন মুশফিক। তখন পর্যন্ত ৪০ ম্যাচের ৭৫ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৩.৬০ গড়ে ২১৫২ রান করেন তিনি। তখনো সেঞ্চুরি ছিল মাত্র ৩টি। বিয়ের পর খেলা ৬০ টেস্টের ১০৮ ইনিংসে ৪১.৮৮ গড়ে ৪১০৫ রান করেছেন মুশফিক। এই সময়ে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১০ সেঞ্চুরি।

এমন বদলে দেওয়ার পেছনে স্ত্রীর ভূমিকার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মুশফিক, ‘আমার প্রায় ১১ বছরের মতো হয়েছে সংসারজীবন। কিন্তু আমি মনে করি যে আমার ক্রিকেটে যদি আপনারা ২০১৪–এর পর থেকে দেখেন, অনেক বড় প্রভাব পড়েছে। তাই তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোল করার পর পেনাল্টি হজম এবং তারপর দুঃখ প্রকাশ নেইমারের
  • নিজেকে বোরিং পারসন মনে করেন মুশফিক
  • ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের নতুন দাবি
  • কক্সবাজারের পেনোয়ার গান কেন আপনাকে শুনতে হবে
  • ‘সেঞ্চুরিতে’ সেঞ্চুরির ফুল ফুটিয়ে মুমিনুলের পাশে মুশফিকুর
  • আমানতের টাকা ফেরতের দাবিতে সপ্তম দিনের মতো মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ঘেরাও
  • সলিল চৌধুরীর ১০০ বছর, সুরের জাদুকরকে কতটা চেনেন
  • অলরাউন্ড নেওয়াজ জেতালেন পাকিস্তানকে
  • জকসু নির্বাচনে শিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
  • স্বামীর জন্য পাঞ্জাবির নকশা করতে গিয়ে শুরু, এখন তিনি সফল উদ্যোক্তা