রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে ফিরিয়ে দেওয়া হলো। ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯’ সংশোধন করে এ অধ্যাদেশে এনআইডি-সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব ইসিকে দেওয়া হলো।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার এটি অনুমোদন করে, যার ভিত্তিতে ৫ অক্টোবর রাতে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন।
এই অধ্যাদেশে মূলত দুটি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। ধারা ৩ (৪): নতুনভাবে 'নির্বাচন কমিশন সার্ভিস' গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
ধারা ৪ (২) (ক): এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অধ্যাদেশ কার্যকর করতে হলে ২০২৩ সালে করা সেই আইন বাতিল করতে হবে, যার মাধ্যমে এনআইডির দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হয়েছিল।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ এর মাধ্যমে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়। তবে, ইসি বরাবরই এনআইডি নিজের অধীনে রাখার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সেই আইন বাতিলের সুপারিশ করেছিল।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বছরে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ নারী সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন
বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্বামী বা ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন—সংখ্যার হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় ৮৪ কোটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ৩১ কোটি ৬০ লাখ নারী ও মেয়েশিশু নিজের একজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬৮টি দেশের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।এই সংখ্যা বিশ্বজুড়ে এই বয়সসীমার নারী ও মেয়েশিশুদের প্রায় ১১ শতাংশের সমান।
বুধবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মানবজাতির ওপর হওয়া প্রাচীনতম এবং সর্বব্যাপী অন্যায়। অথচ এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সবচেয়ে কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘কোনো সমাজই নিজেকে ন্যায্য, নিরাপদ বা সুস্থ বলতে পারে না, যখন তার অর্ধেক জনসংখ্যা ভয়ের মধ্যে বাস করে। এই সহিংসতা শেষ করা কেবল নীতিগত বিষয় নয়; এটি মর্যাদা, সমতা এবং মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয়। প্রতিটি পরিসংখ্যানের পেছনে এমন একজন নারী বা মেয়ে রয়েছেন, যাঁর জীবন চিরতরে বদলে গেছে।’
নারীর প্রতি সহিংসতা মানবজাতির ওপর হওয়া প্রাচীনতম এবং সর্বব্যাপী অন্যায়, অথচ এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সবচেয়ে কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস, ডব্লিউএইচও মহাপরিচালকআগামী ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান দিবস পালিত হবে।
জাতিসংঘের ‘নারী ও মেয়েশিশুদের প্রতি সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস’–কে সামনে রেখে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬৮টি দেশের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।
ছবি: প্রথম আলো গ্রাফিকস