খাওয়ার পরপরই বাসনকোসন পরিষ্কার করার মধ্য দিয়ে নিয়মানুবর্তিতা, মনোযোগ ও নম্রতা প্রকাশ পায়। অনেকেই যৌথ পরিবার বা মেসে থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস অপরকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করে।

এ ছাড়া এই অভ্যাস রুটিন মেনে চলা, অবসাদ কমানো, নিজের যত্ন নেওয়া এবং দায়িত্বশীলতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সঙ্গে সম্পর্কিত। অনেকেই ঘরের কাজ জমিয়ে রাখেন; কিন্তু যাঁরা খাওয়ার পরপরই বাসনকোসন পরিষ্কার করেন, তাঁরা ঘরের কাজও সেরে ফেলেন চটজলদি। এতে তাঁদের দূরদৃষ্টি এবং উপস্থিত বুদ্ধি প্রকাশ পায়।

তাঁরা কাজ ফেলে রাখেন না

এ ধরনের ব্যক্তিরা বাসন মাজা শেষ না করলে খাওয়া শেষ হয়েছে বলেই মনে করেন না। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, এই আচরণ ‘জিগারনিক প্রভাব’–এর সঙ্গে সম্পর্কিত।
মনোবিজ্ঞানে জিগারনিক প্রভাব বলে বোঝায়, এম এক মানসিক প্রবণতা, যেখানে কোনো কাজ মাঝপথে থেমে গেলে বা অসম্পূর্ণ থাকলে তা সম্পূর্ণ হওয়া কাজের তুলনায় মানুষের মনে বেশি সময় ধরে থাকে। সহজভাবে বললে, মানুষ অসমাপ্ত বা বাধাগ্রস্ত কাজগুলো সম্পন্ন কাজের চেয়ে ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অসমাপ্ত কাজ কীভাবে আমাদের মনে গেঁথে থাকে। কাজ জমিয়ে রাখলে সেসবের কথা আমাদের সব সময় মনে পড়তে থাকে। এতে মনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

ঘরের কাজগুলো সময়মতো সেরে ফেললে মন থাকে চাপমুক্ত। কাজ সময়মতো সেরে ফেললে মনে শান্তি আসে। কাজ অসমাপ্ত না রাখার এই অভ্যাসের সুফল শুধু রান্নাঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সময়মতো অফিসে আসা, প্রজেক্ট শেষ করা, রোজকার সব কাজেই প্রতিফলিত হয়।

আরও পড়ুননাভি কত দিন পরপর কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়০৪ অক্টোবর ২০২৫তাঁরা অপরকে সম্মান দেন

দ্রুত বাসন মেজে ফেলা মানুষেরা দলবদ্ধভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নোংরা ময়লা তাঁরা বাড়ির অন্যদের জন্য ফেলে রাখেন না। কাজটি নিজে করে ফেলে জায়গাটি পরিষ্কার রাখেন। এ ধরনের মানুষ অন্যের ভালো থাকাকে প্রাধান্য দেন।

ছোট ছোট কাজগুলো তাঁরা নিজেরাই করেন। যেমন রান্নাঘর পরিপাটি রাখা, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ফেলে দেওয়া কিংবা ডিশওয়াশার শেষ হয়ে গেলে বোতলটা আবার ভরে রাখা। এসব কাজ বাড়ির অন্য সদস্যদের প্রতি তাঁদের সম্মান ও বিবেচনাবোধ প্রকাশ করে।  

তাঁরা রুটিন মেনে চলেন

খাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে বাসন মেজে ফেলা আদতে তাঁদের দৈনন্দিন রুটিনেরই অংশ। এই ছোট একটি কাজই প্রমাণ করে তাঁরা সময়ের কাজ সময়ে করতে কতটা পছন্দ করেন। ছোট ছোট কাজগুলো জমিয়ে না রাখার কারণে আরও বড় বড় কাজ করার জন্য তাঁরা যথেষ্ট সময় ব্যয় করতে পারেন।

এই ছোট ছোট অভ্যাস জীবনে স্থিতিশীলতা আনে। আরও অনেক ইতিবাচক আচরণ দেখা যায় তাঁদের মধ্যে। জীবনের কঠিন সময়গুলোয় তাঁরা সামলে নেন ভালোভাবে। সকালে হাঁটতে বের হওয়া, সন্ধ্যায় বই পড়ার মতো উপকারী অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট সময় পান তাঁরা।

বাসন মাজা শুধু পরিচ্ছন্নতার সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়, কাজটি মনোযোগেরও বটে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব সন ম জ প রক শ অসম প

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া ছাড়া ভারত প্রত্যাশিত আচরণ পাবে না: সারজিস

ভারত যতদিন না শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে, ততদিন তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত আচরণ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের শের-ই-বাংলা পার্ক সংলগ্ন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ইসির রুচিবোধ নিয়ে সারজিসের প্রশ্ন

শাপলাই কেন লাগবে, যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি

সারজিস অভিযোগ করে বলেন, “মহানন্দা নদীতে ভোর রাতে কোনো কারণ ছাড়াই ভারত ৮টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে। ফলে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভারত যদি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হতে চায়, তাহলে তাদের আচরণও প্রতিবেশীর মতো হতে হবে।” 

তিনি বলেন, “মন চাইলে পানি আটকে রাখা, আবার মন চাইলে স্লুইচ গেট খুল দেওয়া- এভাবে চললে বাংলাদেশের মানুষের মনে এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিনদিন বাড়বে। এটা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য কোনো ইতিবাচক বার্তা নয়।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “মহানন্দা নদীর পাড়ে ব্লক বসাতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়, এমনকি রাতে গুলিও চালায়। বাংলাদেশের মাটিতে, আমাদের নদীর পাড়ে আমি এখানে ব্লক দিব। ওরা গুলি করবে এই সাহস যদি এবার তাদের জায়গা থেকে বিএসএফ করে বাংলাদেশের মানুষও উপযুক্ত জবাব দেবে।” 

তিনি বলেন, “অনেক নদী আছে যেগুলো আন্তর্জাতিক নদী। নদীর উৎপত্তি ভারতের বাইরে- নেপাল, ভুটান ও চীনে। তারা যদি আন্তর্জাতিক আইন না মেনে চলে, তাহলে আপনাকেও সমস্যায় পড়তে হবে। সবদিন কিন্তু ভারতের দিন না, দিন বাংলাদেশেরও আসবে।”

এ সময় এনসিপি পঞ্চগড় সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক নয়ন তানবীরুল বারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, অরিয়র্স অব জুলাইয়ের পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল সাশ্রয়ে শুরু, সর্বনাশে শেষ!
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ট্রেনে উত্ত্যক্তের অভিযোগ, আটক ৫
  • হাঁটুতে ভর দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, শৌচাগারের পানি পান করে থাকতে হয়েছে, বললেন ফ্লোটিলার যাত্রীরা
  • মাগরিবের নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে
  • শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া ছাড়া ভারত প্রত্যাশিত আচরণ পাবে না: সারজিস
  • ইসির রুচিবোধ নিয়ে সারজিসের প্রশ্ন
  • থুনবার্গকে নির্যাতন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
  • আটক গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতন ও ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খেতে বাধ্য করার অভিযোগ
  • ভারত ১ নম্বর দল হলেও তাদের আচরণ তৃতীয় শ্রেণির: বাসিত আলী