দেশের শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ও অধিকার নিশ্চিত করতে একটি স্বতন্ত্র ‘জাতীয় শিশু অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা শিশু অধিকারসংশ্লিষ্ট কাজ করলেও একটি সমন্বিত নীতিগত কাঠামো নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। আজ সোমবার রাজধানীর রামপুরায় বেসরকারি সংগঠন নারী উন্নয়ন শক্তির কার্যালয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

নারী উন্নয়ন শক্তি, ইয়াং উইমেন ফর ডেভেলপমেন্ট রাইটস অ্যান্ড ক্লাইমেট, ফোরাম ফর কালচার অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, সি-লিড, ফোরাম নারী মঞ্চ ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন নারী উন্নয়ন শক্তির নির্বাহী পরিচালক আফরোজা পারভীন। আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ফোরাম ফর কালচার অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের সভাপতি সাহিদা ওয়াহাব, ইয়াং উইমেন ফর ডেভেলপমেন্ট রাইটস অ্যান্ড ক্লাইমেটের কর্মসূচি কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, সি–লিডের সদস্য এবং ফোরাম নারী মঞ্চের পরিচালক সেলিনা আক্তার, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিনিধি আবদুল মোমিন প্রমুখ।

সভা শেষে পাঁচটি সংগঠন যৌথভাবে সরকারের কাছে দ্রুত ‘জাতীয় শিশু অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সংলাপ, সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান ও নাগরিক অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ঘোষণা দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ভ লপম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, যৌথ বাহিনীর ধাওয়া

নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আজ দুপুরের পর থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আদালত এলাকায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ছাইফ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা এ সময় ছাইফ উদ্দিনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে যৌথ বাহিনী এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিকেলে হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু মিছিল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ