জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের গুম-খুনের ঘটনায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে উল্লেখ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রত্যেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কেউ পার পেয়ে যাবেন, কাউকে ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেওয়া হবে, কেউ পালিয়ে থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন—এ ধরনের দুরাশা করে লাভ নেই।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এরপর বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।

মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়টি বিস্তারিত উল্লেখ করার পর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের এ কথা বলতে চাই, যাঁরা এত দিন ধরে বিভিন্নভাবে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে বিচার কেন দেরি হচ্ছে বা বিচার আদৌ হচ্ছে কি না; এগুলো হচ্ছে তাঁদের জন্য জবাব। তদন্ত চলাকালীন যে সময়টুকু দরকার ছিল, সেগুলো পার হয়েছে। তদন্তের রিপোর্টগুলো হাতে আসার পর একটার পর একটা করে ফরমাল চার্জ দাখিল হচ্ছে, বিচারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। অনেকগুলো মামলা চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে। সুতরাং জাতির যে প্রত্যাশা ছিল নিকৃষ্টতম হত্যাকারীদের, গণহত্যাকারীদের, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচার এই বাংলাদেশে যাতে হয়, সেটা হওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সঠিক রাস্তায় আছে। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে এ কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি, মানুষের প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যেই তাঁদের এই বিচারকার্য সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেটা বারবারই বলেছি, সব তো আর একবারে হবে না। ক্রমান্বয়ে একটার পর একটা হতে থাকবে। এগুলো ম্যাচুউর স্টেজে আছে। যথাসময়ে তার ফলাফল আপনারা দেখতে পাবেন। প্রত্যেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কেউ পার পেয়ে যাবেন, কাউকে ইনডেমনিটি দেওয়া হবে, কেউ পালিয়ে থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন—এ ধরনের দুরাশা করে লাভ নেই। ন্যায়বিচার সব সময় তার আপন গতিতে চলবে এবং আইন নিরপেক্ষভাবেই কাজ করবে। কেউ অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন, এটা বিশ্বাস করার কোনো সুযোগ এই বাংলাদেশে থাকবে না।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের ঘটনায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্যতম কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন তাজুল ইসলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গুমের মামলা তো অনেক। সবগুলো শেষ না হলেও প্রধান কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট এই সপ্তাহেই দাখিল হবে। এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকুন। আর এটা যেহেতু কমপ্লেক্স মামলা, সে জন্য খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আমরা চেক করছি। তদন্ত রিপোর্ট এই সপ্তাহেই পেয়ে যাবেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত জ ল ইসল ম ম নবত ব র ধ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

১০টা দিন আমাদের কাছে ১০ বছরের মতো লাগছিল...

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে শুদ্ধ স্কুল থেকে দেশের বাইরে শিক্ষাসফরে গিয়েছিল। এই প্রথম মা-বাবাকে ছেড়ে বিদেশে গিয়েছে সে। দেশে ফেরার পর তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন মনের কথা।

নিজের পোস্টে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমাদের ছোট্ট ছেলে শুদ্ধ স্কুল থেকে শিক্ষাসফরে দেশের বাইরে গিয়েছিল। জন্মের পর থেকে এই প্রথম বাবা–মাকে ছেড়ে একা একা বিদেশ–বিভুঁইয়ে কাটিয়ে আসা ১০টা দিন আমাদের কাছে ১০ বছরের মতো লাগছিল।

চঞ্চল চৌধুরী। কবির হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ