বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি বাড়বে: চরমোনাই পীর
Published: 6th, October 2025 GMT
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে বাইপাস রুটে আওয়ামী লীগ ঢুকবে, ভারত ঢুকবে। দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে, আরও মায়ের কোল খালি হবে, দেশের টাকা পাচার হবে।
আজ সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পিআর পদ্ধতি ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী।
সমাবেশে চরমোনাই পীর বলেন, ৩০-৩৫ শতাংশ ভোট নিয়ে দেশে সরকার গঠন হয়। কিন্তু ৬০-৬৫ শতাংশ ভোটের কোনো মূল্যায়ন হয় না। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হবে। দেশ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবে, গুন্ডামি ও চাঁদাবাজি থাকবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং পরে জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু দৃশ্যমান বিচার, সংস্কার কোনোটাই হয়নি। নরসিংদীতে এক পুলিশ কর্মকর্তা চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় মার খেয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন হলে গুন্ডাতন্ত্রের উত্থান হবে, চাঁদাবাজি বাড়বে, আরও মায়ের কোল খালি হবে।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যখন সন্তানহারা মায়ের কান্না থামেনি, তখন ওরা নেমেছিল চাঁদাবাজি, স্টেশন ও ঘাট দখলে। এই গুন্ডা, চাঁদাবাজদের রুখতেই আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। যারা বলে পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। পৃথিবীর ৯১টা দেশে পিআর পদ্ধতি আছে। মানুষ ইসলামের পক্ষে একটি শক্তি চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। ইসলামি ও সমমনা দলগুলোকে একত্র করে কীভাবে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায়, সেটা জনগণের চাহিদা।’
সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মুহাম্মদ আবদুল মুছাব্বির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নূর উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি বাড়বে: চরমোনাই পীর
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে বাইপাস রুটে আওয়ামী লীগ ঢুকবে, ভারত ঢুকবে। দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে, আরও মায়ের কোল খালি হবে, দেশের টাকা পাচার হবে।
আজ সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পিআর পদ্ধতি ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী।
সমাবেশে চরমোনাই পীর বলেন, ৩০-৩৫ শতাংশ ভোট নিয়ে দেশে সরকার গঠন হয়। কিন্তু ৬০-৬৫ শতাংশ ভোটের কোনো মূল্যায়ন হয় না। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হবে। দেশ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবে, গুন্ডামি ও চাঁদাবাজি থাকবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং পরে জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু দৃশ্যমান বিচার, সংস্কার কোনোটাই হয়নি। নরসিংদীতে এক পুলিশ কর্মকর্তা চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় মার খেয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন হলে গুন্ডাতন্ত্রের উত্থান হবে, চাঁদাবাজি বাড়বে, আরও মায়ের কোল খালি হবে।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যখন সন্তানহারা মায়ের কান্না থামেনি, তখন ওরা নেমেছিল চাঁদাবাজি, স্টেশন ও ঘাট দখলে। এই গুন্ডা, চাঁদাবাজদের রুখতেই আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। যারা বলে পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। পৃথিবীর ৯১টা দেশে পিআর পদ্ধতি আছে। মানুষ ইসলামের পক্ষে একটি শক্তি চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। ইসলামি ও সমমনা দলগুলোকে একত্র করে কীভাবে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায়, সেটা জনগণের চাহিদা।’
সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মুহাম্মদ আবদুল মুছাব্বির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নূর উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।