নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা
Published: 6th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের মেইন গেইট হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। র্যালিতে জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্বাগতম বক্তব্য দেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। নিজের ধারা অন্যের কোন ক্ষতি হবে এমন চিন্তা ত্যাগ করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রক্ষায় একমত পোষন করতে হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দৃষ্টিহীন আলভীর চোখে আশার আলো জ্বালালেন ডিসি জাহিদুল
ফতুল্লার দেওভোগ এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক আজিজুল হক ও গৃহিণী রাশেদা বেগমের কিশোরী মেয়ে হাকিমা আক্তার আলভি দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দৃষ্টিশক্তিহীন অবস্থায় ভুগছে।
পাঁচজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আজিজুল হক গার্মেন্টসে কাজ করে অল্প বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খান। তবুও ধার-দেনা ও আত্মীয়স্বজনের সাহায্যে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে, কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি।
চিকিৎসকরা দ্রুত ভারতের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতের ভিসাও সংগ্রহ করেছেন পরিবারটি, কিন্তু বিদেশে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। দৃষ্টিহীন মেয়েকে নিয়ে একের পর এক দ্বারে ঘুরেও ব্যর্থ হন রাশেদা বেগম।
অবশেষে হতাশ হয়ে সোমবার দেখা করেন সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি’ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে। জেলার এই অভিভাবক মনোযোগ দিয়ে শোনেন অসহায় মায়ের কষ্টের গল্প। তিনি রাশেদাকে সান্ত্বনা দেন, হতাশ না হতে পরামর্শ দেন এবং আলভীর চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
রাশেদা বেগম বলেন, “আমি মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি, কেউ পাশে দাঁড়াননি। কিন্তু ডিসি স্যার আমার কথা শোনামাত্রই অনুদানের চেক দিলেন। পরিমাণে ছোট হলেও এই সহায়তা আমাদের জন্য অনেক সাহসের।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের স্বচ্ছল মানুষরা যদি মাত্র ১০০ টাকা করে দেন, তবে আমার মেয়ের চিকিৎসার সব খরচ উঠে যাবে। আমার মেয়ের স্বপ্ন—চোখ ফিরে পেয়ে পড়ালেখা করে একদিন ডাক্তার হবে।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সীমিত বাজেটের কারণে একজনকে খুব বেশি সহায়তা করা সম্ভব নয়। তবে প্রায়ই এমন অসহায় মানুষ আমার কাছে আসেন। জেলার অভিভাবক হিসেবে আমি চেষ্টা করি, অল্প হলেও সবার পাশে দাঁড়াতে।”
আলভীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।