পাবনায় জনতা ব্যাংকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক নিখোঁজ
Published: 7th, October 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে জনতা ব্যাংকের পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ওই ব্যবস্থাপকের নাম খালেদ সাইফুল্লাহ। এ ঘটনায় ব্যাংকের ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডি থেকে জানা গেছে, গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় আসেন। আগের দিন শনিবার তিনি টেলিফোনে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা জানান। শাখায় নগদ সংকট থাকায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব বলে জানানো হয়। এরপর তিনি বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া বাজার শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর আবার ১১টা ৩৫ মিনিটে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় এসে ১ কোটি টাকা নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। টাকা গ্রহণের সময় আনসার সদস্য মাহবুব তার সঙ্গে ছিলেন।
যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো.
জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, খালেদ সাইফুল্লাহ ব্যাংকের নিয়ম মেনে দাশুড়িয়া শাখা থেকে টাকা নিয়েছেন। নিখোঁজ ব্যবস্থাপকের সঙ্গে থাকা আনসার সদস্য মাহবুব জানান, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঈশ্বরদী ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে এসে তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হয়। এরপর তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেলে, টাকা নিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ চলে যান।
নিখোঁজ খালেদ সাইফুল্লাহর স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে তাঁর স্বামী বাসা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকে যান। বিকেলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার কর্মকর্তারা বাসায় এসে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান। এর পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি স্বেচ্ছায় কোথাও গেছেন, নাকি কেউ তাঁকে গুম করেছেন—তা তাঁরা নিশ্চিত নন।
জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নূর বলেন, ‘ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা নিখোঁজ ব্যাংক ব্যবস্থাপককে খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করছি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: করপ র ট শ খ ৩০ ল খ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান মৃত্যুদণ্ডের তথ্য জানিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে বৃদ্ধের ৫ বছরের কারাদণ্ড
শিশু তায়েবা হত্যার বিচার দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে বাবুর শ্বশুর বাড়ি। ২০২২ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়া (২) কে নিয়ে তিনি সেখানে বেড়াতে যান। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ছিল। শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাবু। এরপর লাশ যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার বাগানে ফেলে রাখে। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে বাবু বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল