জনগণের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ এলে অপরাধ কমে আসবে
Published: 8th, October 2025 GMT
দেশে অপরাধের সংখ্যা কমছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “জনগণ যখন নির্বাচনী আমেজে চলে আসবে, তখন অপরাধ কমে আসবে।”
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলায় ডিএমপির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে ২০টি গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
মাঠ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ দ্রুত ইসির হাতে নেওয়ার সুপারিশ
‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকায় এখন ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমে আসছে। একবার মিছিল থেকে ২৪৪ জনকে হাতেনাতে ধরা হলো। তারপর থেকে সংখ্যাটা অনেক কমে এসেছে। সবার সহযোগিতা পেলে এগুলো আরো কমে আসবে। আরেকটি বিষয় হলো, সবাই যখন ইলেকশন মুডে (নির্বাচনী আমেজ) চলে আসবেন, তখন অপরাধগুলো আরো কমে যাবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হয় নির্বাচন কমিশনের। তবে ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘স্টেকহোল্ডার’ হলো জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, তখন কোনো কিছুই সেটি আটকাতে পারবে না। জনগণ হলো সবচেয়ে বড় ‘ফ্যাক্টর’। জনগণ নির্বাচন নিয়ে খুবই সচেতন। যত দিন যাবে, এ নিয়ে আলোচনাও তত বেশি হবে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হয়, সেদিকে সবার চেষ্টা থাকবে।”
সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা মারধরের শিকার হয়েছেন, এমন পরিস্থিতির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এই সংখ্যা আগের থেকে একটু কমে এসেছে। তবে কয়েক দিন আগে নরসিংদীতে এক পুলিশের ওপর হামলার একটি ঘটনা ঘটেছে। এখন জনগণ যদি আস্তে আস্তে সচেতন হন এবং তারা যদি বুঝতে পারেন এই কাজগুলো খারাপ, তখন জনগণই এসব সমস্যার প্রতিকার করবেন। কারণ, সবকিছুর মূলে তো জনগণ।”
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু
নির্বাচনী প্রচারণায় জমে উঠছে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর পতেঙ্গা) আসন। এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তবে দলের মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু। তিনি প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক করছেন। গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়ে সমাবেশ করেন ইসরাফিল খসরু।
বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছেড়ে যায়নি মন্তব্য করে ইসরাফিল খসরু বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জাতির পুনর্জাগরণের নীলনকশা। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। ইসরাফিল খসরু বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত পরপর চারবার এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমীর খসরু মাহমুদ।
এবারের নির্বাচনে এক পরিবার থেকে একজনকে প্রার্থী করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এর মধ্যেও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাফিল খসরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। বাকিটা দলের নীতিনির্ধারকদের বিষয়।’