দাম্পত্য সম্পর্কে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়। আচরণে প্রাণ থাকা প্রয়োজন, এজন্য প্রয়োজন ভালোবাসা আর শুদ্ধাবোধ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘সঙ্গীকেহঠাৎ করে সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরা, ধন্যবাদ জানানো বা একসঙ্গে মজা করা—এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আন্তরিকভাবে করলে সম্পর্ক প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী হয়।’’

সম্পর্ক ‘অদৃশ্য দূরত্ব’ তৈরি করে যা যা করতে পারেন

আরো পড়ুন:

দাঁতে ট্যাটু করছেন চীনের তরুণ-তরুণীরা

যেসব অভ্যাসের কারণে জাপানিরা মোটা হয় না

প্রতিদানহীন ভালোবাসা সঙ্গীর মধ্যে সঞ্চার করতে পারে অনন্য এক অনুভব। অসুস্থ হলে শুশ্রূষা করা, কাজের ফাঁকে খোঁজ নেওয়া, সঙ্গীর পছন্দের কাজে আগ্রহ দেখানো দাম্পত্য জীবনকে অনেক মজবুত ও সাবলীল করে।

প্রতিদিন কথা বলা
আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, সঙ্গীর সঙ্গে অবশ্যই প্রতিদিন একে অপরের সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় বের করুন। রোজ সঙ্গীর সুস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যেমন, ‘আজ তোমার দিনটা কেমন কাটল? —এই ধরনের ছোট জিনিস দু'জনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।

মনোযোগ সহকারে শুনুন
কথা বলা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, মনোযোগ সহকারে শোনাও ততটাই জরুরি। যখন দু’জন মানুষ সত্যিই একে অপরের কথা শোনে এবং মাঝে মাঝে চিন্তাশীল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, তখন সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
একটি ছোট ‘ধন্যবাদ’ আপনার সঙ্গীর কাছে অনেক অর্থ বহন করে। সঙ্গী যদি দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজেও আপনাকে সাহায্য করে, তাহলে তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। এটি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা উভয়ই বৃদ্ধি করে।

ছোট ছোট ভালোবাসার অঙ্গভঙ্গি
একটি সম্পর্ক কেবল প্রেমের বিষয় নয়। হাত ধরা, আলিঙ্গন করা, এমনকি হালকা স্পর্শও সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং ভালোবাসা প্রকাশের এটি সহজ উপায়।

একসঙ্গে কাজ করা
যদি কোনো দম্পতি সত্যিই একে অপরকে ভালোবাসে এবং সম্মান করে, তাহলে তারা গৃহস্থালির কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। এটি বোঝা কমায় এবং পার্টনারশিপের অনুভূতিকে শক্তিশালী করে।

ছোট ছোট আনন্দ দিন
বড় জিনিস সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না সব সময়। কখনও কখনও একটি সুন্দর হাতে লেখা চিঠি বা ছোট একটি চকলেট দিয়ে চমক দিলেও সঙ্গীর দিনটা সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

একসঙ্গে কাটানো সময়
ফোন বা স্ক্রিন থেকে দূরে একসঙ্গে সময় কাটানো, যেমন হাঁটাহাঁটি করা বা একসঙ্গে বই পড়া, রান্না করা, সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। আর একে অপরের সঙ্গে রসিকতা ভাগাভাগি করা বা হালকা আড্ডা দেওয়া সম্পর্কের মধ্যে মজা আনে এবং আরও গভীর বন্ধন তৈরি করে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একসঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

বাপ্পির সঙ্গে দূরত্ব ঘুচল মাহির

দীর্ঘ এক দশক পর আবারো মুখোমুখি ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় জুটি বাপ্পি চৌধুরী ও মাহিয়া মাহি। স্থান—যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক। উপলক্ষ—চিত্রনায়ক কাজী মারুফের বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন। 

২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে মুক্তি পাওয়া ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়ে একসঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় বাপ্পি ও মাহির। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তারা। এরপর ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘তবু ভালোবাসি’, ‘কি দারুণ দেখতে’, ‘অনেক সাধের ময়না’—প্রতিটি সিনেমা মুক্তির পর জুটি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। 

আরো পড়ুন:

সায়মন তারিকের সিনেমায় জুটি বাঁধছেন শিপন-মিষ্টি

‘সৃজনশীল কিছু জিনিস বাইবর্ন হয়ে থাকে, আমার ছোট্ট বাচ্চাটাও তাই’

তবে সময়ের স্রোতে কোথায় যেন দূরত্ব তৈরি হয় মাহি-বাপ্পির। কাজ বন্ধ, যোগাযোগও থেমে যায়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ সিনেমাতেই শেষবার একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১০ বছর। 

অবশেষে সেই দূরত্ব ঘুচেছে আমেরিকার মাটিতে। মারুফের নিউ ইয়র্কের বাসায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে হঠাৎ মুখোমুখি হন বাপ্পি-মাহি। মুহূর্তেই যেন ফিরে আসে পুরোনো দিনগুলো। 

প্রায় চার মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মাহি। অন্যদিকে, বাপ্পি সেখানে গেছেন গত মাসে। পুরোনো সহশিল্পীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত বাপ্পি বললেন, “আমি আর মাহি একসঙ্গে সিনেমায় অভিষেক করেছি। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। প্রায় এক দশক পর দেখা হলো—সত্যি বলতে আবেগ কাজ করছিল ভীষণভাবে। আমাদের শুরুটা, সংগ্রামটা, সাফল্যগুলো—সবকিছু মনে পড়ে যাচ্ছিল।” 

মাহির কণ্ঠেও একই রকম আবেগ। তার ভাষায়, “পুরো দশ বছর পর দেখা! শুটিংয়ের সময় কত হাসি-মজা, খুনসুটি চলত আমাদের! আজ বাপ্পিকে দেখে মনে হলো, সময় যেন একটু থেমে গিয়েছিল।” 

সেই মুহূর্তেই ফেসবুক লাইভে ছিলেন তারা। এক ভক্ত জানতে চান—আবার কবে দেখা যাবে এই জুটিকে রুপালি পর্দায়? বাপ্পির জবাব, “সুযোগ এলে নিশ্চয়ই আবার একসঙ্গে কাজ করব।” 

লাইভে হঠাৎ বাপ্পি গেয়ে উঠলেন তাদের প্রথম সিনেমার বিখ্যাত গান ‘ভালোবাসার চেয়ে একটু বেশি’, সাথে গলা মেলান মাহিও। মুহূর্তটা যেন ২০১২-এর সেই ‘ভালোবাসার রঙ’-এর দিনগুলো ফিরিয়ে আনল। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন নিয়েও আলোচনায় ছিলেন মাহি। তাদের মধ্যেও ছিল দুরত্ব। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জায়েদ-মাহিকে আবারো পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অসম বিয়ে: ভাঙা সংসার জোড়া লাগল সুদীপ-পৃথার
  • জুমার নামাজ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সৌহার্দ্য বিনিময়, জমজমাট প্রচার
  • প্রেম ভাঙার গুঞ্জনে মুখ খুললেন সাদিয়া আয়মান
  • ‘জীবনে এক আছিল, মরণেও একলগে গেল’
  • নবীজির নিয়মিত অভ্যাস ‘কায়লুলা’র উপকারিতা
  • বাপ্পির সঙ্গে দূরত্ব ঘুচল মাহির
  • ১০ বছরে ‘পাঠাও’: একসঙ্গে বেড়ে ওঠার প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গী
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত
  • কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে ৭ সাপ, আতঙ্কে স্বাস্থ্যকর্মীরা