ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আজ সোমবার গাজায় দুই বছর ধরে জিম্মি কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে। বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এ বন্দিবিনিময় হবে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে গাজায় থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন বেঁচে আছেন। জেনে নেওয়া যাক, তাঁরা কারা।

নোভা সংগীত উৎসবের জিম্মি

ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে যাঁরা এখনো বেঁচে আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সেখানকার দক্ষিণাঞ্চলের কিবুৎজ রেইমের কাছে অনুষ্ঠিত নোভা সংগীত উৎসব থেকে অপহৃত হয়েছিলেন।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ফরেনসিক ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ জন জিম্মিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন সেনাসদস্যও আছেন। অন্যরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় সময় বন্দী হয়েছিলেন।

অপহৃত ব্যক্তিদের একজন ২৪ বছর বয়সী এভিয়াটার ডেভিড। গত আগস্টে প্রকাশিত হামাসের এক ভিডিওতে সবশেষ তাঁকে মাটি খুঁড়তে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওতে তিনি বলেন, তিনি নিজের কবর খুঁড়ছেন। অপহৃত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও আছেন ২৪ বছর বয়সী পিয়ানোবাদক অ্যালন ওহেল এবং ৩২ বছর বয়সী অ্যাভিনাটান অর।

আভিন্যাটান অর ও তাঁর প্রেমিকা নোয়া আর্গামানির অপহরণের একটি ভিডিও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, আর্গামানি কাঁদতে কাঁদতে অরের দিকে হাত বাড়িয়ে জীবন ভিক্ষা চাচ্ছেন। হামাস যোদ্ধারা দুজনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। আর্গামানিকে ২০২৫ সালের জুনে ইসরায়েলি বাহিনী উদ্ধার করে।

কিবুত্জের জিম্মি

গাজা সীমান্তের কাছে কিবুৎজিম থেকে সাত ইসরায়েলিকে তাঁদের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে আছেন ২৮ বছর বয়সী যমজ গালি ও জিভ বারম্যান এবং এরিয়েল কুনিও (২৮) ও তাঁর ভাই ডেভিড কুনিও (৩৫)। ডেভিডের স্ত্রী শ্যারন ওি তাঁদের দুই মেয়েকেও অপহরণ করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির সময়ে শ্যারন ও দুই মেয়েকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি সেনা

জিম্মিদের মধ্যে দুজন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্য। তাঁরা হলেন ম্যাটান আংগ্রেস্ট (২২) ও নিমরড কোহেন (২০)। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রাথমিক সংঘর্ষের সময় হামাস যোদ্ধাদের হাতে তাঁরা ধরা পড়েন।

আরও পড়ুনজিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের১৭ ঘণ্টা আগেবিদেশি জিম্মি

৪৮ জন জিম্মির মধ্যে ৪ জন বিদেশি। তাঁদের মধ্যে তানজানিয়ার এক ছাত্র এবং থাইল্যান্ডের দুই শ্রমিককে নিখোঁজ অবস্থায় মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আর নেপালের ছাত্র বিপিন যোশী এখনো নিখোঁজ।

মৃত জিম্মিরা

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ফরেনসিক ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ জন জিম্মিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন সেনাসদস্যও আছেন। অন্যরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় সময় বন্দী হয়েছিলেন। সেদিন হামাস ২৫১ ইসরায়েলিকে জিম্মি করেছিল।

আরও পড়ুনগাজা থেকে জিম্মিমুক্তি শুরু কখন, কীভাবে২২ ঘণ্টা আগে

অপহরণের সময়ই কিছু জিম্মি নিহত হয়েছিলেন। কয়েকজনকে অপহরণকারীরা হত্যা করেছে। কয়েকজন নিহত হন গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায়।

হামাস জানিয়েছে, লাশগুলো উদ্ধার করতে সময় লাগতে পারে। এ জন্য বিশেষ আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যারা মরদেহগুলো শনাক্ত ও উদ্ধারকাজে সহায়তা করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২৩ স ল র জন জ ম ম ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইমরান খান সুস্থ আছেন—গুজব উড়িয়ে বলল পাকিস্তান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল। তবে গতকাল বুধবার গুজব উড়িয়ে দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিনি এখনো কারাগারেই আছেন, সুস্থও আছেন।

এদিকে ইমরানের মৃত্যু নিয়েও ইন্টারনেটে গুজব ছড়িয়েছে বলে ভারতের কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ইমরান খান কারাগারে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তা খাজা আসিফ কখনো পাননি। তাঁর জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, তা কোনো পাঁচ তারকা হোটেলেও পাওয়া যায় না।খাজা আসিফ, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কারাগার থেকে তাঁকে (ইমরান খান) স্থানান্তর-সম্পর্কিত কোনো খবর সত্য নয়। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।’ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে বলেছে, ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়ে যে অনিশ্চয়তার কথা বলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। তাঁর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনইমরান খানকে ‘শান্তির জন্য বড় হুমকি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জেফরি এপস্টেইন১৫ নভেম্বর ২০২৫

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী দলের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।

পৃথক এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ‘ইমরান খান কারাগারে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তা খাজা আসিফ কখনো পাননি। তাঁর জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, তা কোনো পাঁচ তারকা হোটেলেও পাওয়া যায় না।’

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী দলের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।

খাজা আসিফ আরও দাবি করেন, ‘ইমরান খানের জন্য টেলিভিশন রয়েছে। তিনি যেকোনো চ্যানেল দেখতে পারেন। তাঁর জন্য শরীরচর্চার যন্ত্রও রয়েছে। অথচ আমরা কারাগারে থাকতে ঠান্ডায় মেঝেতে ঘুমাতাম, জেলের খাবার খেতাম। শুধু দুটি কম্বল পেতাম, এমনকি গরম পানিও ছিল না।’

আরও পড়ুনঅলৌকিক সেই ইমরান খান এখন কয়েদি নম্বর ৮০৪০৫ অক্টোবর ২০২৫

খাজা আসিফ আরও বলেন, ইমরান খানের জন্য বড় বিছানা ও নরম তোশকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি কারাগারের লাউডস্পিকারে নিজের বক্তৃতাও শুনতে পারবেন।

আরও পড়ুনইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু পিটিআইয়ের১৩ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১
  • দেশের ৪০ শতাংশের বেশি কিশোর-কিশোরীর সক্রিয়তা কম
  • হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবিদ্ধ ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের একজন মারা গেছেন
  • মুক্ত দেশ না হয়েও চীন কীভাবে উদ্ভাবনে এগিয়ে
  • ইমরান খান সুস্থ আছেন—গুজব উড়িয়ে বলল পাকিস্তান
  • সিদ্ধিরগঞ্জে তরুণ অপহরণ, দাবিকৃত মুক্তিপন না পেয়ে হত্যা
  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ১ লাখের বেশি হতে পারে: জার্মানির শীর্ষ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য
  • সিদ্ধিরগঞ্জে তরুণ অপহরণ, দাবিকৃত মুক্তিপ না পেয়ে হত্যা
  • স্কুল থেকে অপহরণের পর মুক্তি পেল ২৪ নাইজেরিয়ান ছাত্রী
  • সন্তানদের নিয়ে দ্বন্দ্ব, গ্রেপ্তার আতঙ্কে দুবাইয়ের শাসক পরিবারের সাবেক বউ