ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে: সালমান শাহর মা
Published: 24th, October 2025 GMT
বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর নতুন মোড় নিয়েছে তার মৃত্যুর রহস্য। আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। এরই মাঝে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ, খলনায়ক ডন তাকে হুমকি দিয়েছেন।
দেশের একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নীলা চৌধুরী। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা কতটা করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে নীলা চৌধুরী বলেন, “এটাই আমার কাছে মনে হয়েছে ন্যায়বিচার পাচ্ছি। প্রত্যাশা আছে বলেই, ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার পাব। এত দিন যারা এত কথা বলেছে, আমাকে হুমকি দিয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে।
আরো পড়ুন:
সালমান শাহ হত্যা মামলা, আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সালমান শাহর ‘ইস্কাটন প্লাজার’ ফ্ল্যাটে পুলিশ
আপনাকে কে হুমকি দিয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে নীলা চৌধুরী বলেন, “এই এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে। প্রেসক্লাবের সামনে যেতে বলেছে। চিন্তা করা যায়, যে আমার ছেলের পিছে পিছে ঘুরত। সাহস পেত না আমাদের সঙ্গে কথা বলার। সেই ডন কত বড় ব্যাকআপ থাকলে আমাকে হুমকি দিতে পারে।”
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
গত ২০ অক্টোবর, মধ্যরাতে রমনা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এ মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।
অন্য ১০ আসামিরা হলেন—প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ। সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সুলতানা’স ড্রিম নারীকে এখনো পথ দেখাচ্ছে
সময়টা ২০১১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। ভারতের গোয়ায় এইচআইভি (এইডস) আক্রান্ত শিশুদের ওপর স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে দিল্লিতে অবস্থান করছি। একদিন বৃষ্টির মধ্যে আশ্রয় নিলাম একটা গ্যালারিতে। সেখানে লোকশিল্পের ওপর প্রদর্শনী হচ্ছিল। সে প্রদর্শনীতে চোখে পড়ল লাল মলাটের একটা বই। প্রচ্ছদে একজন নারীর মহাকাশযান চালিয়ে নেওয়ার ছবি। চমকে উঠলাম! নিচে লেখা ‘সুলতানা’স ড্রিম, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, ১৯০৫। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম এটার ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। সুলতানা’স ড্রিম এখনো নারীর ভাবনাকে নীরবে পথ দেখাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ‘মাই এনকাউন্টার উইথ রোকেয়া’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় বেগম রোকেয়ার লেখার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার প্রেক্ষাপট এভাবেই তুলে ধরেন খ্যাতিমান স্প্যানিশ চলচ্চিত্রনির্মাতা ইসাবেল হারগুয়েরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ওই বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
ইসাবেল হারগুয়েরা ২০২৩ সালে সুলতানা’স ড্রিম উপন্যাস অবলম্বনে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম নির্মাণ করেছেন। ফিল্মটি এ পর্যন্ত ২০টি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, গোয়া অ্যাওয়ার্ড, অ্যাওয়ার্ড ফ্রম সান সেবাস্তিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ফিল্মফেস্ট হামবুর্গ, লিডস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
৭ ডিসেম্বর ইসাবেল হারগুয়েরা বাংলাদেশে এসেছেন। আগামী শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আরেকটি অনুষ্ঠানে এই ফিল্মের আদ্যোপান্ত তুলে ধরবেন তিনি।
ইসাবেল হারগুয়েরা বলেন, শত বছর আগে বেগম রোকেয়া নারীমুক্তির যে মশাল জ্বালিয়েছিলেন, সেটা এখন বিশ্বব্যাপী আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ২০১১ সালের দিকে বেগম রোকেয়ার কিছু লেখার অনুবাদ পাওয়া যেত। এখন ২০২৫ সালে বেগম রোকেয়ার অনেক কাজ অনুবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। স্প্যানিশে অনুবাদ হয়েছে গত বছর।
বেগম রোকেয়া