জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এই আদেশ জারি করা হয়। অবিলম্বে ওএসডির আদেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে। আইআরডির উপসচিব হুমায়ন কবীর এই আদেশে সই করেন।

এর আগে গতকাল বুধবার বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে এনবিআর সদস্য পদ থেকে সরিয়ে কাস্টমস, এক্সাইজ ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আপিল ট্রাইব্যুনাল, ঢাকায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে বদলি করা হয়। তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআরের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বেলাল হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। এ জন্য গত মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলাল চৌধুরী তাঁর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ১৬৬ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। তবে যাচাইয়ে তাঁর নামে ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৯ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি ৪ কোটি ৬০ লাখ ১৯ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দায়দেনা বাদে বেলাল চৌধুরীর নিট সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩ টাকা। আর পারিবারিক ব্যয়সহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার ৪২৬ টাকা। এর বিপরীতে তাঁর বৈধ আয়ের উৎস হিসেবে পাওয়া গেছে ১১ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০ টাকা।

দুদকের ভাষ্যমতে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বেলাল হোসাইন চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেলাল চৌধুরী বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার এবং শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল ল হ স ইন চ ধ র এনব আর

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের ২ মাস পরে জঙ্গলে মিলল কিশোরের কঙ্কাল

নিখোঁজ দুই মাসে পরে জঙ্গল থেকে মিলন হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের কংঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মডেল টাউন হাউজিংয়ের ভেতরের জঙ্গল থেকে ওই কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

নিহত মিলন হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার পারুলিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকায় ইউনুস আলীর মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। 

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের মডেল টাউনের পাশে নিহত মিলন হোসেনের শরীরের গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখেন নিহতের মা জোসনা বেগম। একটু সমানে গিয়ে তিনি একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। 

সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল ওহাব বলেন, “মিলনের মা কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কঙ্কাল উদ্ধার করে। মূলত নিখোঁজ মিলনের গেঞ্জি প্যান্ট দেখে তার মা জোসনা বেগম তার ছেলের মরদেহ বলে দাবি করেন। আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।” 

তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজের ঘটনায় মামলা করেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “মিলন নিখোঁজের ঘটনায় তার মা আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিরেন। মিলন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থেকে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনেরগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকার শামীমের রিকশার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মিলন হোসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পরের দিন মিলনের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। এরপরে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জিডিটি মামলা হিসেবে আশুলিয়া থানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ