মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পুকুরে গোসল করতে নেমে জাহিদ হোসেন (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে শিবচর পৌরসভার গুয়াতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হোসেন ওই এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। সে শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আটক

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে জাহিদ তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নামে। এ সময় সাঁতার না জানায় একপর্যায়ে পানির গভীরে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”

ঢাকা/বেলাল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য দ র ঘটন শ বচর

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন বন্ধুর পাশাপাশি দাফন

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন তরুণ ছিলেন শৈশবের বন্ধু। আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ জুমা একসঙ্গে তিনজনের জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাঁদের দাফন করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রাইনাদী এলাকায় বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা ওই তিন বন্ধু নিহত হন। নিহত তিনজন হলেন রাইনাদী গ্রামের সিয়াম মিয়া (২৭), সাব্বির হোসেন (২৮) ও ফাহিম মিয়া (৩০)। মাধবদীর একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন সিয়াম। একটি অটোরিকশার গ্যারেজে কাজ করতেন ফাহিম এবং সাব্বির ছিলেন অটোরিকশাচালক।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিন বন্ধু মাধবদী থেকে অটোরিকশায় রাইনাদী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি মহাসড়ক থেকে গলিতে ঢোকার সময় পেছন থেকে সিলেটগামী একটি বাস ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই সিয়াম মারা যান, আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাব্বির ও ফাহিমের মৃত্যু হয়।

স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, সাব্বিরের স্ত্রীর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পরিকল্পনায় ওই রাতে ফাহিমের কর্মস্থলে তিন বন্ধু একত্র হয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে ফাহিম নিজেই সেটি চালিয়ে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। পথে তাঁরা মাধবদীর একটি দোকান থেকে জন্মদিনের উপহার কেনেন। ফেরার পথে জাকিয়া কটন মিলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পাশাপাশি কবরে তিন বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ