সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান—দুজনের জন্যই গতকালটা ছিল বিশেষ। সাত মাসের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে নামা সৌম্য খেলেছেন নিজের পুরোনো ছন্দে। ৭ চার ৪ ছক্কায় করেছেন ৮৬ বলে ৯১ রান।

অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই ওয়ানডে অভিষেক হওয়া সাইফ কাল সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে পেয়েছেন প্রথম ফিফটি। এই ওপেনার করেছেন ৭২ বলে ৮০ রান। দুজনের জুটিতে ওঠা ১৭৬ রান মিরপুরে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। ম্যাচ শেষে জুটি বেঁধেই সিরিজের সম্প্রচারক টেলিভিশন টি স্পোর্টসে কথা বলেছেন তাঁরা। সেখানে একে অন্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাইফ–সৌম্য।

সাইফের ইনিংস নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘ও (সাইফ) দারুণ ব্যাট করেছে। শট সিলেকশন ছিল চমৎকার। সমস্যা হলেই ও বারবার কথা বলছিল। ওর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এরপরও যেভাবে ও ব্যাটিং করেছে, লড়ে গেছে, সেটার জন্য ওকে আমাদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।’

৭২ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ৬টি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন সাইফ হাসান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন বন্ধুর পাশাপাশি দাফন

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন তরুণ ছিলেন শৈশবের বন্ধু। আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ জুমা একসঙ্গে তিনজনের জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাঁদের দাফন করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রাইনাদী এলাকায় বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা ওই তিন বন্ধু নিহত হন। নিহত তিনজন হলেন রাইনাদী গ্রামের সিয়াম মিয়া (২৭), সাব্বির হোসেন (২৮) ও ফাহিম মিয়া (৩০)। মাধবদীর একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন সিয়াম। একটি অটোরিকশার গ্যারেজে কাজ করতেন ফাহিম এবং সাব্বির ছিলেন অটোরিকশাচালক।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিন বন্ধু মাধবদী থেকে অটোরিকশায় রাইনাদী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি মহাসড়ক থেকে গলিতে ঢোকার সময় পেছন থেকে সিলেটগামী একটি বাস ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই সিয়াম মারা যান, আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাব্বির ও ফাহিমের মৃত্যু হয়।

স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, সাব্বিরের স্ত্রীর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পরিকল্পনায় ওই রাতে ফাহিমের কর্মস্থলে তিন বন্ধু একত্র হয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে ফাহিম নিজেই সেটি চালিয়ে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। পথে তাঁরা মাধবদীর একটি দোকান থেকে জন্মদিনের উপহার কেনেন। ফেরার পথে জাকিয়া কটন মিলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পাশাপাশি কবরে তিন বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ