চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে ২৫ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাতে নির্দিষ্ট সময়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সেতু বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা শিকদারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী ‘পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা’ অথবা ‘আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা’ টিউবে ট্রাফিক ডাইভারসনের মাধ্যমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এ সময়ে টানেলের উভয় প্রান্তে যাত্রীদের ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

টানেলের নিরাপদ ও কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যাত্রী ও চালকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলের দায়ের আঘাতে বাবার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছেলের দায়ের আঘাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। ছেলেকে বাঁচাতে স্বামীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করে লাশ দাফন করেছেন স্ত্রী। পরে প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ভাই। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে নিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

নিহত এনামুল হক দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর এলাকার বাসিন্ধা। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে নিহতের ভাই আমিরুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের ছেলে ফাহিম (১৯) ও স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ অক্টোবর পারিবারিক কলহের জের ধরে ধারালো দা দিয়ে নিহত এনামুলের মাথায় আঘাত করেন ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২০ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। ছেলেকে বাঁচাতে এনামুলের স্ত্রী স্বজনদের বলেন যে, ছিনতাইকারীরা এনামুলকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করা হয়। তবে, প্রতিবেশীদের দেওয়া তথ্য ও বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আল মামুন বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাবাকে আঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন ছেলে। ছেলেকে বাঁচাতে তথ্য গোপন করে লাশ দাফন করেন নিহতের স্ত্রী। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ