সীতাকুণ্ডে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীরা চাঁদাবাজি মামলার আসামি
Published: 22nd, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ‘মব’ সৃষ্টি করে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তাঁরা হলেন নাফিস হাসান ওরফে ইফতি ও আসাদুজ্জামান আসাদ। পাঁচ মাস আগে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দুটি হয়।
হামলার শিকার সাংবাদিকের নাম লিটন চৌধুরী। গত রোববার রাতে তাঁর ওপর হামলা হয়। তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনকণ্ঠ পত্রিকার সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা। পুলিশের দাবি, ভুক্তভোগী লিটন চৌধুরী এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। তাই এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে ভুক্তভোগী লিটন চৌধুরীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মানিব্যাগ, টাকা ও হাতঘড়ি গতকাল পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। তবে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে সীতাকুণ্ডের পৌর সদরের রেলগেট এলাকার নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সাংবাদিক লিটন চৌধুরী। এ সময় মব সৃষ্টি করে কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর হামলা চালান। ওই যুবকেরা লিটনকে বেধড়ক মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান। হামলায় মাথায় গুরুতর জখম হয় লিটন চৌধুরীর। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা থানায় গেলে লিটনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলার নেতৃত্বে ছিলেন আসাদুজ্জামান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইব্রাহিম, নুর ইলাহী, মো.
আরেকটি মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পৌরসভা সদরে নির্মাণকাজ করার সময় তাঁদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। না পেয়ে আসামিরা নির্মাণশ্রমিক তছলিম উদ্দিন, সুমনসহ কয়েকজনকে মারধর করেন।
সাংবাদিককে মারধর ও চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি জুলাই আন্দোলনে আহত হয়েছি। তখন সীতাকুণ্ডের সাংবাদিকেরা কেউ প্রতিবেদন করেনি। সবাই আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে। তাই ক্ষোভে (লিটনকে) আটকানো হয়েছে।’ চাঁদাবাজির মামলার বিষয়ে বলেন, ‘আমার জানামতে একটি মামলা রয়েছে। সেটি মিথ্যা। সড়ক দখল করে মিছিলের কারণে অ্যাম্বুলেন্স আটকে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় সাজানো মামলাটি হয়েছে।’ নিজেকে সীতাকুণ্ড কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দেন আসাদুজ্জামান।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, টাকা, মানিব্যাগ ও ঘড়ি ছিনতাই হয়েছে কি না, তা ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানাননি। এ ছাড়া এখনো ভুক্তভোগী কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। ফলে এখনো এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে আসামিদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মব সৃষ্টি করে লিটন চৌধুরীর ওপর হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মো. খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক; সঞ্জয় চৌধুরী, আবুল খায়ের, দিদারুল হোসেন টুটুল, কামরুল ইসলাম, এস এম ইকবাল প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আস দ জ জ ম ন প রথম আল ক ল টন চ ধ র ল ইসল ম আস ম র ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
নিবন্ধন ও প্রতীক পাওয়ায় মিরপুরে এনসিপির আনন্দ মিছিল
নির্বাচন কমিশন থেকে দলের নিবন্ধন ও ‘শাপলা কলি’ প্রতীক পাওয়ায় রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জার্মান-বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে দিয়ে মিরপুর-১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে সরকারি বাংলা কলেজের সামনে এসে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
যারা সংস্কারের বিপক্ষে, তাদের সঙ্গে এনসিপির জোট হবে না: হাসনাত
যারা বিএনপির মনোনয়ন পাননি তাদের এনসিপিতে স্বাগতম: হাসনাত
আনন্দ মিছিলে নেতাকর্মীদের ‘শাপলা, শাপলা’, ‘দিল্লি না ঢাকা; ঢাকা, ঢাকা’, ‘এনসিপির মার্কা; শাপলা, শাপলা’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, “আমাদের দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন ও শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছে। সেই খুশিতে ঢাকা মহানগর উত্তর জোনের আয়োজনে আজকের এই আনন্দ মিছিল।”
তিনি আরো বলেন, “ঢাকার বিভিন্ন আসনে শিগগিরই আমাদের প্রার্থি ঘোষণা করা হবে। এর মাধ্যমে এনসিপির মার্কা ও প্রার্থীরা এলাকার জনগণের মধ্যে পরিচিতি পাবেন।”
ঢাকা/রাসেল/রায়হান