হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্য,
Published: 22nd, October 2025 GMT
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজেদের বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ট্রাম্প হামাসকে নতুন করে সতর্ক করেছেন এবং জানিয়েছেন, কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ তার অনুরোধে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।
আরো পড়ুন:
ট্যাক্সি চালিয়ে গড়েছেন ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নিউইয়র্কে সংবর্ধিত মোশারফ
চীনের আধিপত্য মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার বিরল খনিজ চুক্তি
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “যদি হামাস গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য ও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে আমাদের মহান অনেক মিত্র স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, তারা ভারী বাহিনী নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে হামাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।”
ট্রাম্প তার পোস্টে কোনো দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে এই অঞ্চলে সহায়তার জন্য ইন্দোনেশিয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, “মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্ব যেভাবে সহায়তা দিয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বটে, কিন্তু কোনো দেশই সরাসরি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করার ঘোষণা দেয়নি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এমন ভালোবাসা ও উৎসাহ হাজার বছরে দেখা যায়নি। আমি সবাইকে বলেছি এখন নয়! এখনো আশা আছে হামাস সঠিক পথে আসবে। যদি তারা তা না করে, তবে তাদের অবসান হবে দ্রুত, তীব্র এবং নির্মমভাবে।”
উল্লেখ্য, অক্টোবর ১০ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র র জন য প রস ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ৩টি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে ভারত
বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডরে ভারত নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আসামের বামুনি (ধুবরির কাছে),বিহার বাংলা সীমান্তের কৃষাণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় নতুন ঘাঁটিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালু করার জন্য তাদের অটল উদ্যম ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি সেনাদের সর্বোচ্চ কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় থাকারও নির্দেশ দেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গ্যাপগুলোর নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা উন্নত করার জন্য এই ঘাঁটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে, যা ‘চিকেন নেক’ করিডর নামেও পরিচিত।
চিকেন নেককে ভারত তাদের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ, যদি এই করিডর হারিয়ে যায়, তবে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, চিকেন নেক করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক করিডর, যেখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে খুব দ্রুত সময়ে সেনা মোতায়েন করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সেনাকে খুব দ্রুত এখানে জড়ো করা সম্ভব।
পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত এই করিডরের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে।
সুচরিতা/শাহেদ