দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী সালমার স্বপ্নপূরণে ডিসি জাহিদুলের সহায়তা
Published: 6th, November 2025 GMT
বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী সালমা জেরিনের হাতে একটি ল্যাপটপ তুলে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাক জাহিদুল ইসলাম মিঞা
বাবাহীন এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ।
তার মা জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত, আর তিন ভাইবোনই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ফলে সালমার পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সালমা জানান, নিয়মিত শ্রুতিলিপি লেখা, অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একটি ল্যাপটপ তার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংস্থা ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, তবে আশ্বাস ছাড়া কেউ সহযোগিতা করেননি।
জেলা প্রশাসকের মানবিক কার্যক্রমের কথা শুনে তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেখা করেন। ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যেও জেলা প্রশাসক দীর্ঘক্ষণ সময় দেন সালমাকে এবং তার পরিবারের দুরবস্থার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
এরপর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক একটি ল্যাপটপ সালমা জেরিনের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
ল্যাপটপ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সালমা জেরিন বলেন,“আমাদের পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কারণে আমার পক্ষে নিজে থেকে একটি ল্যাপটপ কেনা সম্ভব ছিল না। ডিসি স্যার ল্যাপটপ সরবরাহ করায় আমার শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের পথ সহজ হবে।”
সালমার মেধা ও অধ্যবসায়ের প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সালমা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হয়েও ইংরেজি বিষয়ের মতো কঠিন বিষয়ে পড়াশোনা করছে এবং তার ফলাফল অত্যন্ত ভালো।
সমাজে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের পাশে আমাদের সবাইকে দাঁড়ানো উচিত। তারা সমাজের বোঝা নয়, বরং সম্পদ। সালমা, তুমি নিজেকে কখনো অসহায় ভাববে না—আমরা তোমার পাশে আছি।”
একই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক স্থানীয় সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ব্যবহারের জন্য দুইটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও প্রিন্টার উপহার দেন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “মাদকবিরোধী গণসচেতনতা তৈরি ও মাদক প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি সমাজে ঘটে যাওয়া ভালো ঘটনাগুলোও তুলে ধরতে হবে। আমরা সবাই উন্নত দেশ, শহর ও জীবন চাই, কিন্তু নাগরিক হিসেবে উন্নত মানসিকতা গড়ে তোলাও জরুরি।”
তিনি আরও বলেন,“বিদেশি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় কোনো নেতিবাচক খবর থাকে না। আমাদের দেশেও অপরাধের খবর অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে, তবে সমাজের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরলে মানুষ অনুপ্রাণিত হবে।”
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের ‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ উদ্যোগ ও নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণে তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম এবং জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পর ব র র ল য পটপ র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুল’র উদ্যোগে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল এর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সুপার ডা. মো. আবুল বাশার এর নির্দেশনায় হাসপাতালের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে সকল অলিগলির রাস্তা, হাসপাতালের ১ম ফ্লোর, ২য় ফ্লোর ও আবাসিক কোয়াটার তার নিজস্ব কর্মী দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও ফুল গাছের পরিচর্যা এবং ড্রেন পরিস্কার করান।
স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে, বায়ু দূষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব কর্মী দিয়ে হাসপাতাল পরিস্কারের কাজ করান।
এ ব্যাপারে আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, আমার বাড়ির খুব কাছেই এই হাসপাতালটি, নাগরিক দায়িত্ব থেকে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও পরিবেশ উন্নয়নে আমি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছি। আমি ভবিষ্যতেও জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব।
উল্লেখ্য যে গত ২৩ অক্টোবর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট প্রদান করেন আবু জাফর আহমেদ এবং নিজ অর্থায়নে ২জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেন।
এছাড়াও তার পক্ষে সেচ্ছাসেবক দিয়ে তিনি নিয়মিত এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।