আমার বাবা ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের স্মৃতি
Published: 6th, November 2025 GMT
আমার স্পষ্ট কোনো স্মৃতি নেই, আমরা পুরো ফয়েজ পরিবার প্রতিদিন একসঙ্গে ডাইনিং টেবিলে বসে খেয়েছি কি না। এমন কোনো বিশেষ মুহূর্তও মনে পড়ে না যে আমরা সবাই পারিবারিক আবহে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করেছি। এর কারণ সম্ভবত আমার বাবা, কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, খুব কমই খাওয়ার সময় বাসায় থাকতেন। তার ওপর আমার মা, এলিস ফয়েজ, কর্মজীবী হওয়ায় তাঁকে অফিসের সময় মেনে চলতে হতো, আবার আমাদের, অর্থাৎ আমার বড় বোন সালিমা ও আমার—সময়মতো স্কুলে পৌঁছানোর বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হতো।
পঞ্চাশের দশকে আমার স্কুলজীবনের কথা মনে পড়ে। শীতের সময় প্রতিদিন আমাদের বাসা থেকে টিফিন বা লাঞ্চবক্স আসত। আমরা স্কুলের মাঠে বসে বন্ধুরা একসঙ্গে খাবার ভাগ করে নিতাম, আড্ডা দিতাম, আর একটানা হাসাহাসি খুনসুটি চলত। সেই লাঞ্চবক্সের খাবার ছিল খুবই সাধারণ। একটি রুটি আর এক পদের তরকারি, কখনো ডাল, কখনো সবজি।
বাড়িতে রাতের খাবারও বেশ ছিল সাদামাটা। হয়তো অমলেটের সঙ্গে টোস্ট বা শুকনো মাংসের স্যান্ডউইচ। কখনো ডাল-ভাত। মাঝেমধ্যে বিশেষ খাবার হিসেবে পাওয়া যেত আলু ও বাঁধাকপির তৈরি একধরনের প্যানকেক, যার ওপর একটি ভাজা ডিম থাকত। খাবারটা বেশ গরম-গরম থাকত, তাই অপেক্ষায় থাকতাম কখন খাবারটা বানানো হয়।
আমাদের ডাইনিং টেবিল চারজনের বসার উপযোগী ছিল। বাবা সব সময় টেবিলের অগ্রভাগে বসতেন, তার বাঁ পাশে মা, ডান পাশে আমি, আর অন্য পাশটায় বসত সালিমা। টেবিলটি খুব একটা বড় ছিল না, সস্তা কাঠের তৈরি, একটু নড়বড়ে, ওপরের অংশ পাতলা প্লাইউডের। চেয়ারগুলো ছিল পিঠসোজা ও ছিমছাম গোছের। টেবিলক্লথ ছিল সুতির, হাতে ছাপা ব্লক প্রিন্টের; কেনা হয়েছিল লাহোরের মোজং এলাকার বিখ্যাত ঝান্ডু খানের দোকান থেকে। রং ছিল ফিরোজা ও উজ্জ্বল নীল, সঙ্গে মানানসই ন্যাপকিন। আমরা সব সময় প্লেসম্যাট ব্যবহার করতাম, যদিও তার নকশা মনে নেই। প্লেট ছিল সাধারণ সাদা চিনামাটির, কাঁটা চামচ ও চামচও ছিল একেবারে সাধারণ। গ্লাসগুলোও ছিল একদম সোজা আকৃতির ও সাদামাটা।
ডাইনিং রুমসংলগ্ন ছিল প্যান্ট্রি, তাই আমাদের খানসামা অনায়াসে আসা-যাওয়া করতেন আর খাবার পরিবেশন করতে পারতেন। রান্নাঘর ছিল কয়েক ধাপ নিচে, কিন্তু তাতে খাবার যে ঠান্ডা হয়ে যেত, এমনও না। তখন মাইক্রোওয়েভ বা ওভেন ছিল না, তবে প্যান্ট্রিতে একটি টোস্টার ও সঙ্গে ছিল একটা কেটলি। ওটা বাবা-মায়ের চায়ের পানি গরম করতে ব্যবহৃত হতো।
আমার বাবা, কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, খুব কমই খাওয়ার সময় বাসায় থাকতেন। তার ওপর আমার মা, এলিস ফয়েজ, কর্মজীবী হওয়ায় তাঁকে অফিসের সময় মেনে চলতে হতো, আবার আমার বড় বোন সালিমা ও আমার—সময়মতো স্কুলে পৌঁছানোর বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হতো।(বাঁ থেকে) ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, সালিমা হাশমি, মুনিজা হাশমি ও এলিস ফয়েজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ব আম র স আম দ র র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
হানিয়ার ভাঙা প্রেম জোড়া লেগেছে?
পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রী হানিয়া আমির। পর্দায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য যেমন আলোচনায় থাকেন, তেমনি পর্দার বাইরে তার ব্যক্তিগত জীবন ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের কারণেও আলোচিত হয়ে থাকেন। পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার ভক্ত রয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে পাকিস্তানি গায়ক অসীম আজহারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন হানিয়া আমির। বেশ আগে এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তারা। ফের অসীম আজহারের সঙ্গে নাম জড়ালেন হানিয়া। গুঞ্জন উড়ছে, হানিয়ার ভাঙা প্রেম জোড়া লেগেছে।
আরো পড়ুন:
বিয়ে, সন্তান—সবকিছুই নিয়তির ব্যাপার: সাবা
সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিজেসিএসসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেছে হানিয়া আমির ও অসীম আজহারকে। সেই মুহূর্তের একাধিক ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মূলত, এসব ভিডিও হানিয়া-অসীমের প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিয়েছে। আসীম তার ২৯তম জন্মদিনের আগে ঝাপসা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন, যেখানে হানিয়ার উপস্থিতি রয়েছে বলে অনেকে মনে করেছেন। এটিকে তাদের সম্পর্কের ‘সফট লঞ্চ’ বলে মন্তব্য নেটিজেনদের।
গায়ক অসীমের ২৯তম জন্মদিনের ব্যক্তিগত উদযাপনের ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে হানিয়া ও আসীমকে একই স্থানে দেখা গেছে, যদিও তারা একসঙ্গে ছবি তোলেননি। অন্য একটি ছবিতে দেখা গেছে, তারা একসঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।
কয়েকটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হানিয়া-অসীম আবারো সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে হানিয়া বা আসীম—কেউই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেননি।
এই দুই তারকা একসময় পাকিস্তানি শোবিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটিগুলোর একটি ছিলেন। ২০১৮-২০১৯ সাল পর্যন্ত তারা সম্পর্কে ছিলেন, এরপর বিচ্ছেদ ঘটে। ২০২০ সালে হানিয়া প্রকাশ্যে বলেন, “আমরা শুধু ভালো বন্ধু।”
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর ইনফ্লুয়েন্সার ও অভিনেত্রী মেরুব আলীর সঙ্গে বাগদান সারেন অসীম। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে অর্থাৎ বাগদানের ৩ বছর পর এ সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। তবে গত আগস্টে গায়ক অসীমের কনসার্টে উপস্থিত হয়েছিলেন হানিয়া আমির। সবকিছু মিলিয়ে নেটেজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করছেন না।
ঢাকা/শান্ত