টেকনাফে এবার মাঠে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহানের সমর্থকেরা
Published: 10th, November 2025 GMT
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া–টেকনাফ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার প্রধান সড়কে এ কর্মসূচি হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, জনপ্রিয়তা ও দক্ষতা বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শাহজাহান চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে জেলা বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনাফ বাসস্টেশনের ঝরনা চত্বর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রবিরোধী ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল’। মিছিলে উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। শাহজাহান চৌধুরী এতে উপস্থিত ছিলেন না।
সন্ধ্যায় ঝরনা চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান সিদ্দিকী। বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো.
বক্তারা অভিযোগ করেন, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে টেকনাফে রাতের আঁধারে মশালমিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, এসব কর্মকাণ্ড ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রবিরোধী ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার রাতে টেকনাফ পৌরসভার প্রধান সড়কে মশালমিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সমর্থকেরা। তাঁরা শাহজাহান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করে আব্দুল্লাহকে প্রার্থী করার দাবি জানান।
বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, গতকালের মশালমিছিলের ঘটনায় দলীয় নেতা–কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এর প্রতিবাদেই আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ।
বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, টেকনাফের একটি মহল বিএনপির নাম ভাঙিয়ে রাতের বেলায় মশালমিছিল ও সড়ক অবরোধ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদেই আজকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। সমাবেশে জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে কক্সবাজার–৪ আসনে শাহজাহান চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী মনোনীত হন।
আরও পড়ুন বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে টেকনাফে মশালমিছিল, সড়ক অবরোধ০৯ নভেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হজ হ ন চ ধ র সড়ক অবর ধ ব এনপ র স প র ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াতের আজকের এই ভেদাভেদের মূল কারণ হচ্ছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব: মজিবুর রহমান
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ১৫ বছর ধরে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেল-জুলুম সহ্য করেছে, অসংখ্য কর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন, এমনকি অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। অথচ আজ বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে বিভেদ ও ঘৃণার দেয়াল কেন? বিএনপি–জামায়াতের আজকের এই ভেদাভেদের মূল কারণ হচ্ছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। ক্ষমতাকে কেন্দ্র করেই তারা আজ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে।
সোমবার রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে ‘দক্ষ জনশক্তি, দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এক কঠিন রাজনৈতিক সময় অতিক্রম করছি। বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে যে ক্ষমতার লড়াই চলছে, তা বন্ধ করে ঐক্যের পথে আসতে হবে। আগামী পাঁচ বছর বিএনপি ও জামায়াতকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংসদে ও সরকারে থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাই। হাসিনা যদি পালিয়ে না গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেন, তাহলে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নিত। এখন একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ না করে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে ফেরার সময় এসেছে।’
রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন রাজনৈতিক দলের ইশতেহার বিশ্বাস করে না। কারণ, আমরা প্রতিশ্রুতি দিই, কিন্তু তা রাখি না। এ জন্য আমাদের নেতাদের মধ্যে সততা, জবাবদিহি ও আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবির অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম।