সীমান্তের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিজেদের দুই সেনা আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড।

সোমবার রয়্যাল থাই আর্মি এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, সিসাকেত প্রদেশে মাইন বিস্ফোরণে এক সেনা পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আরেক সেনা বুকে ব্যথা অনুভব করেছেন।

থাই সরকারের মুখপাত্র সিরিপং অংকাশাকুলকিয়াত বলেন, ব্যাংকক ‘যৌথ ঘোষণার পরবর্তী কার্যক্রম’ বন্ধ রাখবে। এর অর্থ হলো কম্বোডিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করা হচ্ছে।

কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এর আগে সীমান্তে নতুন মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল কম্বোডিয়া। পাশাপাশি সোমবার কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শান্তির প্রতি নিজেদের ‘অচল প্রতিশ্রুতি’র কথা জানিয়েছে।

এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। গত জুলাইয়ে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাইল্যান্ডের সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কম্বোডিয়ার সঙ্গে দেশটির সেনারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। ব্যাংককের দাবি, বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ার সেনারা এসব মাইন পুঁতে রেখেছিলেন। সংঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪৩ জন নিহত হন। বাস্তুচ্যুত হন ৩ লাখের বেশি।

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি চীনা কূটনীতিক ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় ২৯ জুলাই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া প্রাথমিকভাবে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর গত অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে উভয় দেশ যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করে। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

নতুন যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, উভয় পক্ষ সীমান্ত এলাকা মাইনমুক্ত এবং ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করবে। অস্ত্রবিরতি মূল্যায়নের জন্য আসিয়ানের চুক্তি পর্যবেক্ষক দলের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে আটকে রাখা কম্বোডিয়ার ১৮ সেনাকে মুক্তি দেবে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়ার সেনাদের মুক্তি দেওয়া ছিল চুক্তির পরবর্তী ধাপ।

চুক্তির পর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা থাই সীমান্ত থেকে ভারী ও ধ্বংসাত্মক অস্ত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ব ড য় র স

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৬: আপাতত নির্বাচনী পরীক্ষা নয়, চলবে ক্লাস

এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত টেস্ট পরীক্ষা (নির্বাচনী পরীক্ষা) না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে কোথায় পড়বেন: সিদ্ধান্ত নিতে মনে রাখুন ‘থ্রি–সি’৭ ঘণ্টা আগে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনি পরীক্ষা গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্বাচনি পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতি উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬–এর ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর০৪ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে
  • কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক আফিফুরের গফরগাঁওয়ে প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্যোগ
  • পে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
  • শিল্পসংস্কৃতি ক্ষেত্রেও একটা বিপ্লব হওয়ার কথা ছিল
  • এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৬: আপাতত নির্বাচনী পরীক্ষা নয়, চলবে ক্লাস