চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাগনের চাঁদাবাজির মামলায় মামা গ্রেপ্তার
Published: 10th, November 2025 GMT
ভাগনেকে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি জোগাড় করে দিয়েছেন—এমন দাবি করেন মামা। তিনি ভাগনের পরিবারের কাছে ওই টাকা চান। এ অভিযোগে ভাগনে তাঁর মামার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় সোমবার ভোরে মামাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। কারাবন্দী মামা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মাসুম রানা (৪০)। মামলার বাদী তাঁর ভাগনে শাহেদ আলী।
শাহেদ আলী বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর ছোট ভাইয়ের চাকরি হয়েছে বিজিবিতে। চাকরির নিয়োগপত্র আসার কথা জানতে পেরে তাঁর মামা মাসুম রানা দাবি করেন, তাঁর টাকাতেই চাকরি হয়েছে। তিনি সাত লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুমকি দেন টাকা না দিলে তিনি চাকরি বাদ করে দেবেন। এ নিয়ে সালিসও হয়েছে। তাঁরা টাকা দিতে রাজি হননি। এর জেরে গত ১৩ অক্টোবর মাসুম রানা ৪–৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ছাড়া তিনি একাধিকবার বিভিন্ন লোককে গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে ভয় দেখিয়েছেন।
শাহেদ আলী আরও বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় মাসুম রানা ৯ অক্টোবর আমাদের দুই ভাই ও বাবার কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠান। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা তিনজন পারিবারিক ও ব্যবসার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা তিন মাসের জন্য ধার নিয়েছি। সেই টাকা পরিশোধের জন্য অঙ্গীকার করেছি। সেই টাকা পরিশোধ করছি না, টাকা পরিশোধে সময়ক্ষেপণ করছি। সেই টাকা পরিশোধের জন্য এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশটি পাওয়ার পর আমারা আইনজীবীর মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর নোটিশের জবাব দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ৩১ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় জিডি করি। যা পরে (৮ নভেম্বর) মামলায় পরিণত হয়।’
আসামি মাসুম রানাকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মাসুম রানা ভাগনের পরিবারের কাছে টাকা দাবির কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেই টাকার উৎস সম্পর্কে তিনি উত্তর দিতে পারেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিনের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি পেছাল
হত্যাসহ পৃথক তিন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক নট টুডে (আজ নয়) রাখেন।
গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও মারাত্মক জখম করার অভিযোগসহ পৃথক পাঁচ মামলায় গতকাল রোববার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান কারাগারে থাকা সেলিনা হায়াৎ আইভী। পাঁচ মামলার মধ্যে হত্যার অভিযোগে তিনটি ও মারাত্মক জখমের অভিযোগ করা দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিন মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আইভীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা (আইভীর আইনজীবী) সময় নিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানি হবে।
আইভীর অন্যতম আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট আইভীকে জামিন দিয়েছেন। এর মধ্যে চার মামলায় জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদন হাতে পেয়েছেন। তিন মামলায় জামিনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। আদালত নট টুডে (আজ সোমবার নয়) রেখেছেন।
গত ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের নিজ বাসা থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় হওয়া তিনটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন আইভী। পরে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে টানা জয়ী হন তিনি।