বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, একটি দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে। একই সঙ্গে কোনোভাবেই দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে ৮ দলের সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মামুনুল হক। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি ও নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে। পরিষ্কার ঘোষণা করছি, রক্ত দিয়ে যে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি, প্রয়োজনে আবার রক্তের সাগর প্রবাহিত হবে, তবু বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্য দিয়ে জুলাই সনদ তৈরি হয়েছে। এই জুলাই সনদকে আমরা কোনো কাগজের সনদ হিসেবে দেখতে চাই না। জুলাই সনদকে আমরা আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা হিসেবে দেখতে চাই।’

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই সনদকে সরকারি আদেশের মাধ্যমে এর প্রাথমিক আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। এরপর আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে জুলাইপন্থীরা বরদাশত করবে না।’ জুলাই বিপ্লবের বীর শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট ছাড়া বাংলার মাটিতে কোনো কিছুই হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট হলে কার কী সমস্যা, সেটা বুঝে আসে না বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির। তিনি বলেন, গণভোট বাস্তবায়ন ছাড়া যদি জাতীয় নির্বাচন হয়, সেখানে অনেকগুলো বড় জটিলতা সৃষ্টি হবে। সংসদ নির্বাচন হলেও উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন কীভাবে হবে, সেটা স্পষ্ট নয়।

জুলাই সনদের গণভোটকে কেন্দ্র করে সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন বলে জানান মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘সরকার ৮ দলের শান্তিপ্রিয় ভাষা বুঝতে যদি ব্যর্থ হয়, যেই ভাষায় বললে সরকার বুঝবে আমরা সেই ভাষায় প্রয়োগ করব; সেই কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আরও বলেন, ‘স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, আজ বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত— বাহাত্তরের বাকশালপন্থী আর জুলাইয়ের বিপ্লবপন্থী। বাহাত্তরের পরাজিত শক্তিরা ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছে। আমরাও ঘোষণা করতে চাই, ১৩ নভেম্বর কোনো বাকশালপন্থীকে বাংলার রাজপথে নামতে দেব না। যদি কেউ নামার অপচেষ্টা চালায়, আমরা তাদের রাজপথে মোকাবিলা করব।’

আরও পড়ুনছাব্বিশে নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে: জামায়াত আমির১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদক ম ম ন ল হক গণভ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে একটি দল: মামুনুল হক

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, একটি দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে। একই সঙ্গে কোনোভাবেই দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে ৮ দলের সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মামুনুল হক। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি ও নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে। পরিষ্কার ঘোষণা করছি, রক্ত দিয়ে যে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি, প্রয়োজনে আবার রক্তের সাগর প্রবাহিত হবে, তবু বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্য দিয়ে জুলাই সনদ তৈরি হয়েছে। এই জুলাই সনদকে আমরা কোনো কাগজের সনদ হিসেবে দেখতে চাই না। জুলাই সনদকে আমরা আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা হিসেবে দেখতে চাই।’

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই সনদকে সরকারি আদেশের মাধ্যমে এর প্রাথমিক আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। এরপর আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে জুলাইপন্থীরা বরদাশত করবে না।’ জুলাই বিপ্লবের বীর শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট ছাড়া বাংলার মাটিতে কোনো কিছুই হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট হলে কার কী সমস্যা, সেটা বুঝে আসে না বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির। তিনি বলেন, গণভোট বাস্তবায়ন ছাড়া যদি জাতীয় নির্বাচন হয়, সেখানে অনেকগুলো বড় জটিলতা সৃষ্টি হবে। সংসদ নির্বাচন হলেও উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন কীভাবে হবে, সেটা স্পষ্ট নয়।

জুলাই সনদের গণভোটকে কেন্দ্র করে সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন বলে জানান মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘সরকার ৮ দলের শান্তিপ্রিয় ভাষা বুঝতে যদি ব্যর্থ হয়, যেই ভাষায় বললে সরকার বুঝবে আমরা সেই ভাষায় প্রয়োগ করব; সেই কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আরও বলেন, ‘স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, আজ বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত— বাহাত্তরের বাকশালপন্থী আর জুলাইয়ের বিপ্লবপন্থী। বাহাত্তরের পরাজিত শক্তিরা ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছে। আমরাও ঘোষণা করতে চাই, ১৩ নভেম্বর কোনো বাকশালপন্থীকে বাংলার রাজপথে নামতে দেব না। যদি কেউ নামার অপচেষ্টা চালায়, আমরা তাদের রাজপথে মোকাবিলা করব।’

আরও পড়ুনছাব্বিশে নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে: জামায়াত আমির১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ